বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ভারতীয় রুপির মাধ্যমে বাণিজ্যের মতো নতুন পদক্ষেপ, বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি আরো বাড়িয়ে তুলবে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে গোদাগাড়ী এলাকার সুলতানগঞ্জ বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট চালু করতে, সুলতানগঞ্জ (বাংলাদেশ) থেকে মায়া (ভারত) পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী জাহাজের যাত্রার সূচনা করেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
প্রণয় ভার্মা নতুন নৌ রুটটিকে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সংযোগের অংশ এবং দুই দেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক রূপান্তরের দৃশ্যমান প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রকৃত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখী যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আর, মায়া-সুলতানগঞ্জ নদী-পথ পুনরায় চালুর বিষয়কে একটি বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, এটি কেবল সীমান্তের দুই পাশের স্থানীয় অর্থনীতির জন্য উপকার বয়ে আনবে না; দুই দেশের জাতীয় অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে। “উপআঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতি জোরদার করবে;” যোগ করেন প্রণয় ভার্মা।
হাইকমিশনার আরো বলেন, “ভারত বর্তমানে এশিয়ায় বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।” ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) কথা উল্লেখ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, “এ বিষয়ে শিগগির আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।”
গোদাগাড়ী সুলতানগঞ্জ বন্দর উদ্বোধনের পর বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মায়া ঘাটের উদ্দেশে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়।
এটি হলো, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ প্রটোকল (আইবিপি) রুট ৫ ও ৬ এর আওতায়, ভারতের মায়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ বন্দরের মধ্যে পরীক্ষামূলক পাঁচটি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের প্রথম নৌ-যাত্রা।