গ্রিসে বিদেশী, বিশেষ করে চীনা নাগরিকদের বাড়িঘর ও সম্পত্তি কেনার হিড়িক থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করার জন্য নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। গ্রিসে বাড়ি কিনে রেসিডেন্সি পাবার এই সুযোগটি সাধারণত “গোল্ডেন ভিসা” স্কিম হিসেবে পরিচিত।
চীনের সদ্য সচ্ছল অনেক নাগরিকের দেশত্যাগের প্রণোদনা বাড়ছে। এটিকে বিশ্বব্যাপী “অভিবাসন বিনিয়োগ” ব্যবসা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রিসে চীনা নাগরিকদের ব্যাপক ভিড় দেখা দিয়েছে। এটি একটি গুরুতর আবাসন সংকট তৈরি করেছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস বলেছেন, সংকট নিরসনে তিনি দেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগের সীমা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯১ ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৭২ ডলার করবেন।
দ্বিদলীয় সমর্থনের বিরল এক উদাহরণ সৃষ্টি করে বিরোধী নেতারা এই পরিকল্পনার পক্ষে ছিলেন।
দীর্ঘস্থায়ী আবাসন সংকটের কারণে তারা এখন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে চীনাদের মতো বিদেশী ক্রেতাদের গ্রিসের রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করে বিশাল মুনাফা করতে বাধা দেয়া হয়। অনেক বিদেশী ক্রেতা আবাসিক উদ্দেশ্যে বাড়ি ব্যবহার না করে পরিবর্তে স্বল্পমেয়াদে ভাড়া দেয়।
গ্রিসের অন্যতম আকর্ষণ এবং পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাক্রোপলিসের কাছে বসবাসরত স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই এলাকায় ভাড়া নেয়ার জন্য একটি সাশ্রয়ী মূল্যের অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০১৪ সালে গোল্ডেন ভিসা কর্মসূচি চালু করার পর থেকে গ্রিস প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারের ন্যূনতম সম্পত্তি বিনিয়োগের বিনিময়ে বিদেশিদের পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য বসবাসের অনুমতি দিচ্ছে।
সরকারি সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছে, গ্রিসের গোল্ডেন ভিসার জন্য সর্বোচ্চ চার্জ দেশটির সবচেয়ে লোভনীয় জায়গাগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। সেগুলো হলো এথেন্সের কেন্দ্র এলাকা এবং মাইকোনোস এবং সান্তোরিনির মতো ঝলমলে দ্বীপপুঞ্জের জন্য। ওইসব এলাকা চীনা নাগরিকদের কাছে প্রিয়।