গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির কাঠামো নিয়ে আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইসরাইল বলেছে, তাদের বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক ডজন জঙ্গিকে হত্যা করেছে।
কায়রোতে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, ইসরাইল এবং কাতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল। গত মাসে অনুরূপ আলোচনার পর লড়াইয়ে বিরতির প্রস্তাব করা হয়েছিল যার আওতায় গাজায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।
এরপর হামাস পাল্টা প্রস্তাব দিলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, হামাসের পরিকল্পনায় কিছু ‘আলোচনা-অযোগ্য’ বিষয় থাকলেও এখনো আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনকে মুক্তি দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস এখনো প্রায় ১০০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, বন্দী অবস্থায় ৩১ জন নিহত হয়েছে অথবা তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।
মিশর সীমান্তের পাশে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হলো।
গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন রাফায় রয়েছে। অনেকে চার মাস ধরে চলা যুদ্ধ থেকে বাঁচতে এবং ইসরাইলের সেনাবাহিনীর বারবার সরে যাওয়ার নির্দেশের কারণে পালিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার ফলে অনেকে জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে বাস করছে। জাতিসংঘ এবং এর সহায়তা সংস্থাগুলো খাদ্য, জল এবং চিকিৎসা সেবার প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।