উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং উত্তর কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তিনি এমনকি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা কোন একদিন পিয়ংইয়ং সফর করবেন।
সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে কিশিদা বলেছিলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের পরিবর্তনের “ কঠিন প্রয়োজনীয়তা” অনুভব করছেন। তার এই বিবৃতির পর কিম বলেন, দুই দেশ একসাথে নতুন ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, এক বিবৃতিতে কিম বলেন, “আমি মনে করি, তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন না করার কোনো কারণ থাকবে না, যদি অতীতের বন্ধন থেকে নিজেকে সাহসের সাথে মুক্ত করার তার আসল উদ্দেশ্য থেকে তা উৎসারিত হয়ে থাকে।”
সম্পর্কের সম্ভাব্য উন্নতির প্রসঙ্গটি ১৯৭০ এবং ১৯৮০-র দশকে উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিকদের অপহরণের বিষয়টির দীর্ঘ দিনের প্রেক্ষাপটে সতর্কতার সাথে আসে। এটি এমন একটি বিষয় যা জাপানকে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণ করে তুলেছে।
উত্তর কোরিয়া ১৯৭০ এবং ১৯৮০’র দশকে ১৩ জন জাপানি ব্যক্তিকে অপহরণ করার জন্য এজেন্ট পাঠানোর কথা ২০০২ সালে স্বীকার করেছিল। অপহৃত ব্যক্তিদের দিয়ে উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরদের জাপানি ভাষা এবং রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য করেছিল। তবে জাপানে অপহৃত নাগরিকদের সংখ্যার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি সম্পর্কে এখনো সন্দেহ রয়েছে গেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, আরও বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়েছিল।
গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার সময় কিশিদা অপহরণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তবে ঐতিহাসিকভাবে এ ধরনের বৈঠক সফল হয়নি।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ২০০২ সালে পিয়ংইয়ং সফর করেন। এই সফরের মধ্য দিয়ে জীবিত পাঁচজন জাপানি নাগরিকের দেশে ফেরার পথ খুলে গেলেও উত্তর কোরিয়া অপহরণের শিকারদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকায় কূটনীতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।