বাংলাদেশের পার্বত্য জেলার অতি দরিদ্র মানুষদের সহায়তায় নেয়া প্রকল্পে সহযোগিতা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এ সময় তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানান; উন্নয়ন সহায়তাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটির তিন উপজেলায়, বান্দরবানের তিন উপজেলায় ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের আওয়াতায় রয়েছে, ২৬টি ইউনিয়নের ২০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারের ৯৮ হাজার মানুষ।
চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল এসব মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ বৃদ্ধিসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো; তিন পার্বত্য জেলায় অতি দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাস ও জলবায়ু সহনশীন জীবিকা উন্নয়নে সহায়তা প্রদান। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কমিউনিটি পরিচালিত মার্কেট কালেকশন পয়েন্ট শক্তিশালী করা।
এছাড়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইট ক্লিনিক/স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা, শিশুদের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের জন্য পারিবারিক পরিদর্শন, মাঝারি ও তীব্রভাবে অপুষ্টির শিকার শিশুদের জন্য খাদ্য প্যাকেজ রয়েছে এই প্রকল্পে।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উন্নয়ন পরিকল্পনায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনকে অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা কছেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এ ধরনের কল্যাণকর উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তিনি সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান।
নারীদের ভাষা শিক্ষায় সহযোগিতা দেবে ইইউ
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি জানান, বাংলাদেশের নারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষা এবং বিভিন্ন দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা কবে ইইউ।
সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে চার্লস হোয়াটলির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।