অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপি নেতা রিজভী: বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা জনবিরোধী ও নিষ্ঠুর


বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এ বছরের মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকারের পরিকল্পনাকে গণবিরোধী ও নিষ্ঠুর আখ্যায়িত করে এই পরিকল্পনাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “সরকার মার্চ মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। যে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ ধরনের গণবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এই সিদ্ধান্ত হবে অত্যন্ত নির্মম। রমজানকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত মানে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ইতিমধ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের কোনো প্রকার আয় বাড়েনি। মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করছে। কেউ কেউ ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণকে বিপদে ফেলবে।”

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষি, শিল্প ও কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাম বাড়ালে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান দখলদার সরকার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করলেও বাস্তবে এ দেশ বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এর প্রমাণ বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েছে। আজ টেলিভিশন খুললেই হিন্দি নাটক, হিন্দি সিনেমা চোখে পড়ে। সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে ভারতীয় ছবি। এগুলো কিসের জন্য?”

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মার্চে বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইঙ্গিত দেন মার্চ মাসে নতুন করে পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম ‘সামান্য’ বাড়তে পারে।

নসরুল হামিদ বলেন, “স্বল্প মূল্যের বিদ্যুৎ পেতে আমরা কয়লাভিত্তিক অনেক কেন্দ্র চালু করলেও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সেই সুফল পুরোপুরি পাওয়া যায়নি। গত এক বছরে কয়লার দাম বেড়ে আবার কমে গেলেও টাকার বিপরীতে ডলার অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এখন দাম কিছুটা বাড়াতেই হচ্ছে।”

তিনি আভাস দেন খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে ৩ থেকে ৪ শতাংশ দাম বাড়ানো হতে পারে।

জানা গেছে, সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই বৈঠকে দাম কতটুকু এবং কীভাবে বাড়ানো হবে সেই প্রস্তাব তৈরি করা হয়।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের মার্চ থেকে খুচরায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করেছেন বিএনপি রোজা-রমজান-ঈদ কোনোটাই মানে না।

তিনি বলেন, “তারা এখন রমজানের মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে, ঈদের দিনও কর্মসূচি দেয় কি না সেটিই দেখার বিষয়।”

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যে ভুল করেছে, সে জন্য তাদের দলটা ধপাস করে পড়ে গেছে। এখন তারা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে কি না সেটি বিষয়। আর এই ভুলের জন্য নেতারা কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছে। রমজানে কর্মসূচি দিলে তারা জনগণের তোপের মুখে পড়বে।

XS
SM
MD
LG