অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, প্রত্যাশা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ২৩ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মহান একুশে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ২৩ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মহান একুশে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মহান একুশে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

“আমাদের দেশে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতি বছর ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্মগ্রহণ করে; অর্থাৎ, প্রতি বছর এই সংখ্যায় রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়ছে;” হাছান মাহমুদ যোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে আর কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করা কিংবা আশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়। “মিয়ানমার সীমান্তে এর আগে যে ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো, আশা করবো সেই ধরণের পরিস্থিতির আর হবে না;” উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সাংবাদিকরা হাছান মাহমুদকে প্রশ্ন করেন; মিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে তারা আবারো অভিযান চালাবে; এছাড়া অনেক রোহিঙ্গা সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে, সরকার এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে।

জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনারা জানেন, কয়েকদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে গিয়েছিলেন। সেখানেও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছি।”

তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল আসছে, এটি আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করার ক্ষেত্রে সহায়ক। সেখানে নিশ্চিতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আমরা আলোচনা করবো।”

রাখাইনে অভিযান পরিচালনা করা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

“একই ধরণের কারণে আমাদের এখানে এর আগে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এবং সেখানকার মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে, দুইজন নিহত হয়েছে। ৩৩০ জনের মতো তাদের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আমাদের দেশে এসেছিলো, আবার তাদের ফেরত নিয়ে গেছে মিয়ানমার;” যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদুতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সুতরাং আমরা আশা করবো এর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো তা আর হবে না।”

হাছান মাহমুদ বলেন, এর আগে যাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, তাদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায়, সে বিষয়ে কাজ চলছে।

“যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেছি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সরকারের ওপর যাতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়, সেজন্য ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি;” হাছান মাহমুদ জানান।

XS
SM
MD
LG