স্থানীয় কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, শনিবার ইসরাইলের যুদ্ধ সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় আটক প্রায় ১৩০ জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা চালিয়ে নিতে কাতারে মধ্যস্থতাকারী পাঠাতে সম্মত হয়েছে।
শনিবার প্যারিসে শান্তি আলোচনা থেকে ইসরাইলি প্রতিনিধিরা চলে এসেছিলেন। শুক্রবার সেখানে তারা নভেম্বরের যুদ্ধবিরতিতে সহায়তাকারী ও জিম্মি মুক্তিতে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন সেইসব কাতারি, মিশরীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে সাক্ষাত করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হানেগবি জানান, আলোচনার আপডেট জানতেই শনিবার যুদ্ধ মন্ত্রীসভার বৈঠকে বসে।
এন১২ নিউজ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হানেগবি বলেন, “সম্ভবত একটি চুক্তির নিয়ে এগুনোর সুযোগ রয়েছে।“
তবে তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের চুক্তির অর্থ যুদ্ধ শেষ হওয়া নয়।”
তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন সংক্রান্ত কোনো চুক্তিও ইসরাইল মেনে নেবে না বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি যেসব প্রতিনিধি এই পরিকল্পনা দেখেছেন তারা এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিকল্পনার কিছু অংশ এ অঞ্চলের জন্য ওয়াশিংটনের প্রণীত স্বাধীন ফিলিস্তিনসহ দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিপরীতে যায়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মতে শনিবার জানিয়েছে, যুদ্ধে গাজায় লড়াইয়ে তাদের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৩৯ জন। তাদের দাবী, প্রায় ১২ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা। ফলে যোদ্ধার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এদিকে এই পরিসংখ্যান অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে হামাস।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, শনিবারের যুদ্ধ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে "আলোচনার পরবর্তী পদক্ষেপগুলি" নিয়ে আলোচনা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ওয়াশিংটন রাফায় হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়ে তার মিত্র দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলেছে, এ ধরনের হামলায় ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক সংবাদদাতা জানান, রাফায় শনিবার সন্ধ্যায় শহরটি লক্ষ্য করে অন্তত ছয়টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, তীব্রতর খাদ্যের অভাব এবং অপুষ্টি ও রোগে আক্রান্ত হয়ে গাজায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা বাড়তে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি , এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।