আফগানিস্তানে তালিবানের নারী অধিকার দমনের মুখে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, আফগান নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নতুন অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত আফগান উইমেন ইকনমিক রেসিলিয়েন্স সামিট (এডব্লিউইআরএস) ‘এর একটি বৈঠকে ব্লিংকেন বলেন মাইক্রসফট এবং লিংকড-ইন বিশ্বব্যাপী আফগান মেয়েদের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট প্রদান করবে । তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল শিখতে এবং সম্ভাব্য কর্মদাতাদের সঙ্গে যুক্ত করতে সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, তা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যুক্তরাষ্ট্রে যারা গত দু বছরে চলে এসেছেন সেই সব আফগান নারী ও মেয়েদের বৃত্তি প্রদান করবে। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর অবশ্য কিছু জানায়নি।
২০২২ সালে গঠিত এডব্লিউইআরএস ‘এর লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজেদের দেশর ভেতরে ও বাইরে আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন।
ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সমাবেশে বলেন , “ আমরা দক্ষতা অর্জন, প্রশিক্ষণ চাকরী ও নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগ করছি। এই মিশন যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ”।
নারী অধিকারের বিলুপ্তি
এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে আসলো যখন গত দু বছর ধরে নিয়ম করে আফগান নারীদের অধিকার বিলুপ্ত করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো তালিবানকে এই বলে অভিযুক্ত করছে যে নারীদের নিয়ম করে জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে তারা “লিঙ্গ বৈষম্য” তৈরি করছে।
তালিবান এই সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে এবং জোর দিয়ে বলে যে তাদের নীতি ইসলামি ও আফগানদের ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধকেই তুলে ধরে।
ব্লিংকেন অবশ্য জানাননি যে যুক্তরাষ্ট্র কি আফগানিস্তানে তাদের বিখ্যাত ফুলব্রাইট বৃত্ত আবার চালু করবে কীনা। ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর এই বৃত্তি স্থগিত রয়েছে।
বিধিনিষেধ ‘ আফগানিস্তানের সম্ভাবনাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে গেছে”
নারী অধিকার কর্মীদের অবলীলাক্রমে তালিবানের নিপীড়নের মুখে এটা পরিস্কার নয় যে কি ভাবে এডব্লিউইআরএস ‘এর কর্মসূচী আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নারীদের কাছে পৌঁছাবে।
ব্লিংকেন বলেন “তালিবানের বিধিনিষেধ আফগানিস্তানের সম্ভাবনাকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে এসেছে”। তিনি আরও বলেন কর্মশক্তি থেকে নারীদের অনুপস্থিতি আফগান অর্থনীতিতে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি করছে।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য তালিবানের ইচ্ছা সত্ত্বেও , ওয়াশিংটন বলে আসছে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আফগানিস্তানকে নারী অধিকার আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।