জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২০২৩ সালের ২১ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এই মামলায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ভাগনে পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসানেকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মিজানুর রহমান।
জ্ঞাত উৎসের বাইরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অর্জনের অভিযোগে মিজান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না এবং ভাগনে পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদক তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
একই বছরের ২০ অক্টোবর আদালত এই মামলায় মিজান এবং অপর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অপরদিকে দুদকের এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে মিজানকে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুর্নীতির মামলায় এই প্রথম পুলিশের কোনো পদস্থ কর্মকর্তার (বরখাস্ত হওয়া) সাজা উচ্চ আদালতে বহাল থাকল।