অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

যৌন হয়রানির মামলায় রাজথানী ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের গণিতের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

দুই দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মুরাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।

একইসঙ্গে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী চিকিৎসার আবেদন করলে কারাবিধি মোতাবেক তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি মুরাদ হোসেনকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী-আল-ফারাবী এই আদেশ দিয়েছিলেন।

মুরাদ হোসেনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে লালবাগ থানা-পুলিশ। অভিযুক্ত পক্ষ এই আবেদন বাতিল করে জামিন চায়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মুরাদ হোসেনের পক্ষ থেকে আদালতে দাবি করা হয়, তিনি হয়রানির শিকার।

উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) অভিযুক্ত শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আসছিলেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। এ দাবিতে ছাত্রীরা ২৫ ফেব্রুয়ারি আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। একই দিনে অভিভাবকেরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।

অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।

পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর মা মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় যৌনপীড়ন ও শ্লীলতাহানির মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত, তখন সে ওই শিক্ষকের কোচিংয়ে পড়তে যেত। মেয়েটিকে ২০২৩ সালের ১০ মার্চসহ বিভিন্ন সময় নানাভাবে যৌনপীড়ন করেছেন তিনি।

এদিকে একই দিন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মুরাদ হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। ওই দিন রাতেই তাঁকে কলাবাগানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

XS
SM
MD
LG