অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বৈশ্বিক সংহতির আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ


কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেবরুয়ারি) কেনিয়ার নাইরোবিতে ষষ্ঠ জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে জাতীয় বিবৃতি প্রদানকালে বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এ আহবান জানান। এসময় তিনি মানবজাতির সামনে অভূতপূর্ব পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বৈশ্বিক সংহতির জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অবদান নগন্য। তা সত্ত্বেও, হিমবাহ গলে যাওয়া, বন্যা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বিরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণগুলো নিরসনের গুরুত্ব এবং টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে আরো বেশি বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী।

সম্মেলনে, বাংলাদেশের পরিবেশগত দায়িত্বের প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী। তিনি ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘পৃথিবীর জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে প্রচারের লক্ষ্যে 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা' গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবেশ সংরক্ষণের নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এই নীতিমালা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশের আন্তরিকতার প্রমাণ দেয়।”

প্লাস্টিক দূষণ, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্লাস্টিকের বর্জ্য মোকাবেলা এবং টেকসই ভোগ ও উৎপাদন পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহবান জানান।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিবেশগত শাসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইউএনইএ-৬ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো সবুজ, আরো স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন; ইউএনইএ-৬ এর সভাপতি লেইলা বেনালি, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রতিনিধি ও বিশ্ব নেতারা।

XS
SM
MD
LG