জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থী’র সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২ মার্চ) তুরস্কে অনুষ্ঠিত, আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামের প্রথম প্যানেল আলোচনায় এ আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তু বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব এবং আরো যেসব বিষয় নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে সেগুলোর ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
জাতিসংঘের অভিবাসী ও শরণার্থী সংজ্ঞা’র সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে, জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের সংজ্ঞা দ্রুত পরিবর্তন করার জন্য এ আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ। হাছান মাহমুদ বলেন, “যতদূর আমরা জানি শুধু এই গ্রহে জীবনের উৎস রয়েছে।”
আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামের আলোচনায় অংশ নেন মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী।
তারা, বিল্ডিং এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল আর্কিটেকচার: দ্য চ্যালেঞ্জ অফ আনম্যাচিং ইন্টারেস্টস’ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন যে অনেক ছোট ও দ্বীপ রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে।
“গত তিন দশক ধরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের সমগ্র উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে;” আলাচনায় উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
প্রতিনিয়ত জলবায়ু অভিবাসনের বিরূপ প্রভাব রয়েছে বাংলাদেশে; জানান হাছান মাহমুদ।বলেন, “সমস্যাটি এখন একটি বাস্তবতা, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এটি কঠিন বাস্তবাতা।”
“অবিলম্বে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থী’র সংজ্ঞা পরিবর্তন করা প্রয়োজন;” তিনি যোগ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, যদিও অনেক দেশ ও অনেক পরিবেশ বিজ্ঞানী বহু বছর ধরে বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, তবুও অনেক বিশ্ব নেতা এটা উপলব্ধি করেন না। সাম্প্রতিক কালে এই সমস্যা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
“বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রধান অবদানকারী ধনী দেশগুলো এই সমস্যা মোকাবেলা করতে এবং আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য খুব কম এগিয়ে এসেছে। এটি স্থানীয় সমস্যা হলেও, এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী;” বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই রূঢ় বাস্তবতার অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশে। এ কারণে, সকল এক্টিভিস্ট ও বিশ্ব নেতার প্রতি জলবায়ু অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের সংজ্ঞা পরিবর্তনের গুরুত্ব মেনে নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায়, জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থী’র গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা প্রণয়নের আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
