বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায়, চার অভিযুক্ত ব্যক্তির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।
শনিবার(২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর আগে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করা হয়।
পরে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন রিমান্ড আবেদন করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জিসান, ক্যাফে চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের বলেন, “ভর্তি ১২ রোগীর কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।”
আগুনের কারণে সৃষ্ট কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে, পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন, সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার ও গুদাম পরিদর্শক।
এই প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, শুক্রবার (১ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি জানি যে বেইলি রোডের ভবনটিতে কোনো বীমা ছিলো না; তাই তারা (অগ্নিকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা) ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছুই পাবেন না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।”