সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ অ্যাওয়ার্ড দেবার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন এই অনুষ্ঠানের হোস্ট। এই বছর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বেলারুশ, বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা, মিয়ানমার, কিউবা, ইকুয়েডর, গাম্বিয়া, ইরান, জাপান, মরক্কো, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডার নারীরা এই পুরস্কার পেয়েছেন।
শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা, ন্যায়, নারী ও বালিকাদের ক্ষমতায়নের পক্ষে অসাধারণ সাহস, শক্তি ও নেতৃত্ব প্রদর্শনকারী নারীদের ২০০৭ সাল থেকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
এ বছর যাদের সম্মানিত করা হবে তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের ফৌজিয়া করিম ফিরোজ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকারের আদায়ে লড়াই করার জন্য তাকে এই সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।
ফৌজিয়া করিম বর্তমানে তার নিজস্ব আইন চেম্বারের প্রধান এবং ফাউন্ডেশন ফর ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এফএলএডি)-র চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে ফ্লাড ২০১৫ সালের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় অপর্যাপ্ত বলে রায় দিয়েছে।
এর আগে ফৌজিয়া করিম ব্যক্তিগতভাবে পোশাক শ্রমিকদের পক্ষে তাদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার মামলা দায়ের করেছেন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশন (বিআইজিইউএফ) এবং গৃহকর্মী নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন।
ফৌজিয়া করিম ফিরোজ ২০০৭-২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি অ্যাসিড সারভাইভারস ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যৌন হয়রানির মামলাগুলো পর্যালোচনা ও আদালতে সুপারিশ করার জন্য মিস করিমকে এটির পাঁচ সদস্যের কমিটিতে নির্বাচিত করে।
এছাড়াও নিকারাগুয়ার নয়জন নারী রয়েছেন যারা গত বছর সেখানে মুক্তি পাওয়া রাজনৈতিক বন্দীদের একটি দলের অংশ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সেখানে কর্মীরা “একটি দমনমূলক শাসনের অধীনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।”.
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার আজনা জুসিচ যুদ্ধের সময় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া শিশুদের পক্ষে তার কাজের সম্মানে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কিউবা থেকে মার্থা বিয়াত্রিজ রোকে কাবেলো তার দেশে মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
উগান্ডায় মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় আতুহাইরেকে সম্মানিত করা হচ্ছে।