অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলা


দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় আল-ফাকায়ি পরিবারের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখছে ফিলিস্তিনিরা । (৫ মার্চ, ২০২৪)
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় আল-ফাকায়ি পরিবারের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখছে ফিলিস্তিনিরা । (৫ মার্চ, ২০২৪)

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় মঙ্গলবার অভিযানের কথা জানিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, হামাদ এলাকার ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছাকাছি ইসরাইলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা হামাদে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক লোকজনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কয়েক ডজন হামাস ও ইসলামি জিহাদ যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে।

মিশরে চলমান আলোচনা এবং যুদ্ধবিরতির জন্য অব্যাহত চাপের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধ চলছে।

ইসরাইল বরাবরই কায়রো আলোচনা থেকে দূরে সরে থেকেছে। তারা যেসব জিম্মি এখনও গাজায় হামাসের হাতে আটক রয়েছে তাদের নামের তালিকা সরবরাহ না করার জন্য হামাসকে দোষারোপ করছে।

মঙ্গলবার হামাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদে্র বলেন, চুক্তি না হবার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী। সেই সাথে তিনি চুক্তির ব্যাপারে চাপ সৃষ্টির বিষয়টি ইসরাইলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস সোমবার হামাসকে প্রস্তাবিত চুক্তির শর্তাবলী মেনে নিতে আহ্বান জানান। চুক্তির শর্তে, জিম্মিদের মুক্তির সাথে সাথে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত গাজা ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির অনুমতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়।

ইসরাইলের তথ্যমতে, অক্টোবরের হামলার মতো হামাসের আরেকটি হামলার আশংকা বানচাল করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজায় ৩০ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। আরও আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

ভয়েস অফ আমেরিকার জেফ সেলডিন এবং মার্গারেট বেশির এই রিপোর্টে অবদান রেখেছেন। কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG