অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্পের জবাবঃ 'তারা সেই একই নীতি অনুসরণ করছেন যা একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে'


প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেসের যৌথ সভায় যে ভাষণ দিয়েছেন, তার তীব্র সমালচনা করেছেন তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার সমালোচনার প্রায় সবটুকু জুড়েই ছিল বাইডেনের অভিবাসন নীতি।

ট্রাম্প বলেন, “জো বাইডেন নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করতে চলেছেন । তবে তিনি আর তাঁর দল যে মারাত্মক ক্ষতি করেছেন তার জবাবদিহিতা না করে পাগলের মতো মিথ্যে কথা বলেছেন। তারা সেই একই নীতি অনুসরণ করছেন যা একটা ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে”।

“আমরা একটি দেশ হিসেবে এটা আর মেনে নিতে পারছি না," তিনি বলেন।

ট্রাম্প ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্ট কালের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন,“আমি যখন দায়িত্ব ছাড়ি, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জো বাইডেনকে সব চেয়ে নিরাপদ সীমান্ত দিয়ে যাই।"

তিনি বলেন তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের আমেরিকায় না এসে মেক্সিকতে থেকে যাওয়ার জন্য "রিমেইন ইন মেক্সিকো" নীতি গ্রহণ করেছিলেন। "এটা পাওয়া কঠিন ছিল কিন্তু আমি পেয়েছি," তিনি বলেন।

উদাহরণ হিসেবে ট্রাম্প সেইফ থার্ড এগ্রিমেন্টস, অ্যাসাইলামের উপর নিষেধাজ্ঞা, টাইটেল ৫২ , ৫৭১ মাইল জুড়ে সীমান্ত প্রাচীর, (অভিবাসন প্রার্থীদের) দ্রুতই স্বদেশে প্রত্যাবাসন ইত্যাদির কথা বলেন। "আমাদের দেশের ইতিহাসে তখন ছিল আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ সীমান্ত," তিনি বলেন।

বাইডেনের অভিবাসন নীতি

ভর্ৎসনা করে বাইডেন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন “এই লোকটা, এই অসৎ জো আর তার বামপন্থি উগ্রবাদী পাগলরা ইচ্ছে করে ঐ সব নীতিকে তছনছ করে দিয়েছে যা কীনা টম হলম্যান এবং ব্রান্ডন জুডের মতো শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মতে আমাদের দিয়েছিল এক নিরাপদ সীমান্ত। তাঁরা বলেন ইতিহাসে সেটাই ছিল সব চেয়ে উত্তম এক সীমান্ত। এখন আমরা যেন ভয়ের ছবি দেখছি। এই দেশ, আমাদের এই দেশকে নিয়ে এখন পৃথিবীশুদ্ধ লোক হাসাহাসি করছে।"

বাইডেনের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, “ গত ৩ বছর ধরে বাইডেন লক্ষ লক্ষ অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশী লোকজনকে এ দেশে প্রবেশ করতে দিয়েছেন এবং আপনাদের পাড়াতেই তাদের বসতি গড়তে দিয়েছেন”।

ট্রাম্প, তাঁর কথায়, বাইডেনকে, “এ পর্যন্ত দেখা সব চেয়ে অযোগ্য প্রেসিডেন্ট’ বলে অভিহিত করে বলেন, “তিনি এই অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করতে পারতেন কিন্ত না, আজ পর্যন্ত তিনি এই অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশী ভিনদেশীদের দেশের ভেতরেই রাখছেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়ে আমাদের দেশে এদের সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটিতে।"

শ্রিংকফ্লেশান হচ্ছে ইনফ্লেশান

বাইডেনের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করে ট্রাম্প আরও বলেন, “ কংগ্রেসে জো বাইডেন যে প্রথম প্রস্তাবটি পাঠান তা ছিল অবৈধ অভিবাসন প্রার্থীদের ভোট প্রদানকারী নাগরিক করার জন্য সমর্থন আদায়।

বাইডেনকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, "তার কর্মকান্ড প্রমাণ করে যে তার অগ্রাধিকার হচ্ছে , বিশাল সংখ্যক নতুন ভিনদেশীদের এ দেশে নিয়ে এসে থাকতে দেয়া --- আমার অগ্রাধিকার হচ্ছে আমাদের সীমান্ত সুরক্ষা এবং ... বাইডেনের আনা অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো”।

অর্থনীতি সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “এই একই ভাবে এই একজন দূর্বল জো বাইডেন যখন তাঁর তৈরি শব্দ “শ্রিংকফ্লেশান” নিয়ে কথা বলেন, তখন সেটিও এ দেশের দেখা সব চাইতে হাস্যকর ব্যাপার। “শ্রিংকফ্লেশান” হচ্ছে ইনফ্লেশান (মূদ্রস্ফীতি) -এরই আরেক নাম, যার মানে হচ্ছে আপনি প্রচুর অর্থ হারাচ্ছেন কারণ এরা জানেই না তারা কি করছে।"

ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে বাইডেন “ ও তার দল আপনাদের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “ আমার নেতৃত্বের সময় কোন মুদ্রস্ফীতি হয়নি। বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের অর্থনীতি ছিল সব চেয়ে ভালো অবস্থায়”।

তিনি বলেন যে এখন সময় এসেছে এই অসৎ জো বাইডেনকে বলার, “ইউ আর ফায়ার্ড।" অর্থাৎ, "তোমাকে চাকরীচ্যুত করা হলো।"

XS
SM
MD
LG