নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া সুষম জাতীয় উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়; শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনায় এই অভিমত দেন বক্তারা।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য, নারীকে মূলধারায় আরো বেশি করে সম্পৃক্ত করতে, বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন তারা।
আলোচনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেলেও, বাংলাদেশে এখনো তারা পিছিয়ে আছেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নারীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।” এ ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করেন গোয়েন লুইস।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াজোঁ উপকমিটির আহ্বায়ক ও এপি’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
এর আগে, ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে ক্লাবের সদস্য ও অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বলন করেন এবং অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রণযন করেন, তাতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।