অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আসন্ন শাটডাউন এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ব্যয় বিল পাস


সিনেট মেজরিটি লিডার ডেমোক্র্যাট চাক শুমার, ডি-এনওয়াই, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে আংশিক সরকারী তহবিল বিলের কাজ সম্পন্ন শেষ হবার আগে চেম্বারের বাইরে হাঁটছেন। (8 ই মার্চ, ২০২৪)
সিনেট মেজরিটি লিডার ডেমোক্র্যাট চাক শুমার, ডি-এনওয়াই, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে আংশিক সরকারী তহবিল বিলের কাজ সম্পন্ন শেষ হবার আগে চেম্বারের বাইরে হাঁটছেন। (8 ই মার্চ, ২০২৪)

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট শুক্রবার অবশেষে সরকারের একটি আংশিক শাটডাউন এড়াতে সক্ষম হয়। বর্তমান অর্থায়নের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে চেম্বার বেশ কয়েকটি সরকারী সংস্থার জন্য ব্যয় আইন অনুমোদন করে এই সংকট এড়াতে সক্ষম হয় তারা।

৩০ সেপ্টেম্বর অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত কৃষি, পরিবহন, আবাসন, শক্তি, প্রবীণদের এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য ৪৬ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার ব্যয় প্যাকেজ এর অনুমোদনে ভোট দিয়েছেন সিনেটররা। এতে ৭৫-২২ ভোটে এটি অনুমোদন পায়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে।

এসব কর্মসূচির অর্থায়নের মেয়াদ মাঝরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

সরকারি ব্যয় নিয়ে কয়েক মাস ধরে চলা তিক্ত লড়াইয়ে পরিস্থিতি এতটাই নাজুক পর্যায়ে যায় যে, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদকে তিন সপ্তাহের জন্য নেতৃত্বহীন করে তোলে তা। এই ভোটের মাধ্যমে সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা উত্তরন ঘটেছে।

সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ভোটের আগে বলেন, “ যারা বিভক্ত সরকারের কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন যে তারা কিছই করতে পারে না, তাদের জন্য এই দ্বিদলীয় প্যাকেজ অন্য বার্তাই দিবে। ”

চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে সহজেই পাস হয়ে যায় প্যাকেজটি। কিন্তু অভিবাসন ও অন্যান্য বিষয়ে ভোটের জন্য কিছু রক্ষণশীল রিপাবলিকানের চাপের কারণে সিনেটে পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হয়। তারা সকলেই ব্যর্থ হয়।

কংগ্রেসকে চুক্তির মধ্যে এখনও সামরিক, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যয় বিল নিয়ে আরও বড় প্যাকেজের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। এসব কর্মসূচির অর্থায়নের মেয়াদ ২২ মার্চ শেষ হবে।

দুটি প্যাকেজ মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ডলার খরচ হবে। ৩৪ লক্ষ ৫০ হাজার ডলারের জাতীয় ঋণ নিয়ন্ত্রণের জন্যও খরচ কাটছাঁট আর সীমিত করার ব্যাপারে কিছু রিপাবলিকান চাপ দেন।

এসব উদ্যোগকে ২০২৪ অর্থবছরের শুরুতেই (১ অক্টোবর) আইনে পরিণত করার কথা ছিল। কংগ্রেস কখনোই এ ধরনের সময়সীমা অনুযায়ী উদ্যোগ নিতে পারে না। কিন্তু এ বছরের বিতর্ক ছিল অস্বাভাবিকরকম গোলযোগপূর্ণ। সরকারের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গত বছরের সমতুল্য মাত্রায় অব্যাহত রাখতে এবার কংগ্রেসকে এ পর্যন্ত চারটি অস্থায়ী অর্থায়ন বিলের অনুমোদন দিতে হয়েছে।

XS
SM
MD
LG