অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার


ইন্দোনেশিয়ার একটি তল্লাশি ও উদ্ধারকারী জাহাজ নৌকার ধ্বংসাবশেষে আশ্রয় নেওয়া ৬৯ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। ২১ মার্চ, ২০২৪।
ইন্দোনেশিয়ার একটি তল্লাশি ও উদ্ধারকারী জাহাজ নৌকার ধ্বংসাবশেষে আশ্রয় নেওয়া ৬৯ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। ২১ মার্চ, ২০২৪।

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের কাছে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকা ডুবির পর, তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির প্রাদেশিক তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নৌকাটির উল্টে গেলে এর খোলের মধ্যে রাতভর গাদাগাদি করে আশ্রয় নেয় আরোহীরা। এদের মধ্যে, ৪৪ জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও ৯ শিশুসহ ৭৫ জনকে উদ্ধার করে জেলে, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল।

কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। আর বেশিরভাগকে আচেহ প্রদেশের বারাত জেলার একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়। অনেকে যাত্রাপথে পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন বলে ইউএনএইচসিআর কর্মীদের জানিয়েছেন।

শনিবার (২৩ মার্চ) জেলেরা তিনটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানায়। রবিবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে বান্দা আচেহ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আল হুসেইন জানান, তল্লাশির পর তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদের মধ্যে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও একজন পুরুষ। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী ছিলেন বলে জানান আল হুসেইন।

মরদেহগুলো আচেহ জায়া জেলার কালাং শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআরের কর্মী ফয়সাল রহমান বলেন, বেঁচে যাওয়া কয়েকজন মৃতদেহ শনাক্ত করতে সাহায্য করেছেন।

ফয়সাল রহমান আরো জানান, তারা নৌকায় একসাথে ছিলো কি না, তা যাচাই করতে শরণার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নেয়া হয়।

আচেহ প্রদেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার থেকে নিকটবর্তী পানিতে মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে বলে খবর পেয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র যাত্রা করে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে এসে একটি নৌকা ডুবে যায়। এই নৌকার আরোহী অন্তত ৭০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। তাদের মধ্যে অন্তত ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নৃশংস অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছিলো।

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নাগরিকগণ সেখানে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার এবং অধিকাংশ নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত।

থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো, ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করতে বাধ্য নয় দেশটি। তবে, সাধারণত বিপদগ্রস্ত শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে ইন্দোনেশিয়া।

XS
SM
MD
LG