অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ: ‘সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যু কমেছে’


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে দুই দেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। অতীতের তুলনায় এখন প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ নওগাঁ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হন। সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চান।

হাছান মাহমুদ জানান, বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট ও নওগাঁয় দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো ও সীমান্ত বৈঠক হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে তা তারা দেখতে চান।

বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার, অপরাধী বা বাসিন্দাদের সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিজিবি ও বিএসএফ সম্পৃক্ত রয়েছে, তারা মনে করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।

জিম্মি জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ আরও জানান, ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রগতি হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা এবং একইসঙ্গে জাহাজটিকেও উদ্ধার করা। আমি শুধু বলতে চাই, আমরা অনেক এগিয়েছি।”

তিনি বলেন, তারা যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং ক্রুদের উদ্ধারে বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জাহাজে খাদ্য সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, “জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতীতে কখনো খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। আশা করছি এ ক্ষেত্রেও তা হবে না।”

উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। পরে জাহাজটি তারা সোমালিয়ার একটি উপকূলে নোঙ্গর করে। জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জলদস্যুরা মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

XS
SM
MD
LG