শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, “এমন বাংলাদেশ গড়তে হবে, যেখানে শ্রমিকের অবদানকে মূল্য দেয়া হবে।”
রবিবার (৩১ মার্চ) রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক সংলাপে এ আহবান জানান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।
“আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেখানে সব শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের অবদানকে মূল্য দেয়া হবে;” বলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
এই সংলাপের উদ্দেশ্য ছিলো, মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং সুষ্ঠু পরিবেশে কাজের জন্য মূল ইস্যুতে অংশীজনদের জড়িত করা।
সংলাপে শ্রম সংস্কারে ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সঠিক কাজের প্রচার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের উদ্দেশ্য অবিচল রয়েছে।”
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বহুপক্ষীয় সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শোভন কাজ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব আরো জানান যে এই নীতিগুলো জাতীয় উন্নয়ন কৌশলসমূহে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে রয়েছে জিবি রোডম্যাপ (২০২১-২০২৬) এবং বাংলাদেশের শ্রম খাতের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬)।
এছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ টেকসই প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে এগুলো অপরিহার্য; আরো বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা, শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা, জ্ঞানের বিস্তার ও অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা, মালিক, শ্রমিক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন জানান, যৌথ প্রচেষ্টা সঠিক ও কার্যকরী নীতিমালা তৈরিতে সহায়তা করছে। আর, নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো কর্মশক্তির জীবনযাত্রার উন্নতির পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন বলেন, সফল এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশকে প্রধান উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, চাকরি সৃষ্টি, প্রমাণভিত্তিক মজুরি নীতিমালা প্রণয়ন, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
“আইএলও লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে;” বলেন আইএলও বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন।
সংলাপে, গ্লোবাল এক্সেলারেটর ফর জবস, প্রমাণ-ভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতিমালা এবং পেশাগত নিরাপত্তা এবংশ্রমশক্তির স্বাস্থ্যের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।