অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের অভিযোগে চার ইন্দোনেশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে


ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে উদ্ধারের পর কয়েক ডজন রোহিঙ্গা শরণার্থী পাচারের অভিযোগে চারজন ইন্দোনেশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ গত মাসে আচেহ প্রদেশের পশ্চিম উপকূল থেকে ৬৯ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। তারা একদিনেরও বেশি সময় ধরে একটি উল্টে যাওয়া নৌকার হাল ধরে ভেসে ছিল। তার ঠিক একদিন আগে স্থানীয় জেলেরা আরও ছয়জনকে উদ্ধার করে।

রোহিঙ্গা বহনকারী সেই নৌকায় মোট ১৫০ জন ছিলেন বলে অনুমান করা হয়, এবং নৌকাডুবির পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

আচেহ প্রদেশের পুলিশ বলেছে যে তিনজন কথিত মধ্যস্বত্বভোগীকে ওই গোষ্ঠীর অংশ হিসেবেই উদ্ধার করা হয়েছিল, এবং পরে তারা গ্রেপ্তার হয়। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের পর চতুর্থজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তিরা শরণার্থীদের মালয়েশিয়ায় পাচার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্য একটি নৌকায় চড়ে সমুদ্রে ভ্রমণ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরও চার সন্দেহভাজনকে এখনও খুঁজছে কর্তৃপক্ষ, যাদেরকে আচেহ-তে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাচারের পিছনে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গারা, যারা বেশিরভাগই মুসলিম, মিয়ানমারে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার। হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল সমুদ্র যাত্রার পথ বেছে নেয়।

অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত ৪,০০০ কিলোমিটার বা ২,৫০০ মাইলের এই বিপজ্জনক যাত্রার পথ বেছে নেয়, যা প্রায়ই ইন্দোনেশিয়ায় স্টপওভারের সাথে জড়িত একটি বহু মিলিয়ন ডলারের মানব-চোরাচালান ব্যবসা।

গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই বছর জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত, ১,৭৫২ রোহিঙ্গা শরণার্থী ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে আচেহ এবং উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে এসে পৌঁছেছে। ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, এটি ২০১৫ সালের পর থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে।

এর বড় কারণ হল বাংলাদেশের শিবিরের অবনতিশীল অবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা।

XS
SM
MD
LG