অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমার-থাই সীমান্তের কাছে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়াতে শত শত মানুষ থাইল্যান্ড পালিয়ে গেছে


সম্প্রতি জাতিগোষ্ঠীগত গেরিালাদের দ্বারা দখলকৃত একটি সীমান্তবর্তী শহরে আবার নতুন করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা শনিবার জানিয়েছেন যে প্রায় ১,৩০০ মানুষ প্রাণের ভয়ে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন।

গত সপ্তাহে, সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর কারেনের যোদ্ধারা মায়াওয়াদ্দি এবং তার আশেপাশে অবস্থিত মিয়নামার বাহিনীর সর্বশেষ ফাঁড়ি দখল করেছিল। মোই নদীর উপর দিয়ে দুটি সেতুর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের সাথে মিয়ানমারকে সংযুক্ত করে এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি।

সীমান্তবর্তী থাই-মিয়ানমার মৈত্রী সেতুর কাছে আশ্রয়রত সেনাদের লক্ষ্য করে কারেন গেরিলারা হামলা চালানোতে সকাল বেলায় এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। থাইল্যান্ডের মায়ে সোট জেলার পুলিশ প্রধান পিত্তায়াকর্ন ফেচরাত বলেছেন যে সেতুটি মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপারের স্থান।

থাই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন শুক্রবার থেকে মায়াওয়াদ্দির বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের পর থেকে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ড যাওয়া শুরু করেছে।

অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ২০২১ সালে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া সামরিক বাহিনীর জন্য মায়াওয়াদ্দির পতন একটি বড় ধরনের ধাক্কা।

মিয়ানমারের এক সময়কার শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গত অক্টোবর থেকে একের পর এক নজিরবিহীন পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে।

রাজ্যের জাতিগোষ্ঠীগত যোদ্ধারা কয়েক দশক ধরে সেখানে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে আসছে। তার পাশাপাশি, সামরিক দখলের পর গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ইউনিটগুলিও তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়।

সংঘর্ষে কারেন বাহিনী ড্রোন হামলা এবং মিয়ানমার বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। শনিবার বেলার দিকে উত্তেজনা কমতে দেখা গেলেও, মায়ে সোট পুলিশ প্রধান পিটায়াকর্ন ফেচরাত বলেন যে তিনি অনেকক্ষণ পর অব্দি বিক্ষিপ্ত গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, থাই কর্তৃপক্ষ সীমান্ত পেরিয়ে আসা লোকজনদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

থাই সীমান্ত থেকে পাওয়া এক ফুটেজে থাই সৈন্যদের সেতুটির কাছে প্রহরা দিতে দেখা গেছে। তাদের আশে পাশে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

XS
SM
MD
LG