অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ 'হেরে গেলেও দিদি'কে ছাড়ব না'


রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্র্যান্ড ফিনালেতে চমকটা দেখেই জল্পনাটা তৈরি হয়েছিল। 'দিদি নাম্বার ওয়ান'-এর শো-তে কিনা সেদিনের বিশেষ অতিথি খোদ দেশের, তথা সারা দুনিয়ায় পরিচিত দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ! তাহলে কি আরও বড়সড় কোনো চমক আসতে চলেছে?

সেই চমক এলো কলকাতার ব্রিগেডের মাঠে। যখন ঘটল উলটপুরাণ, বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে দিদির গাড়িতে চড়েই ব্রিগেডে পৌঁছেছিলেন রচনা।

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না

যারা এ ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য লেখেন, তাদের মনুষ্যত্ব বোধটাই কম। আমি এ নিয়ে কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন দেখি না।

তবে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিতর্ক যেন তার পিছু ছা়ড়ছে না। রচনাকে নিয়েও যত বিতর্ক, সেসবের সূত্রপাত তার কথা থেকেই। হুগলিতে বিজেপির পোড়খাওয়া লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন রচনা। কিন্তু কখনও ধোঁয়া নিয়ে, কখনও ঘাস নিয়ে, কখনও আরও নানা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রোলবন্যা বইছে তাকে নিয়ে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এসবকে পাত্তা দিচ্ছেন না।

সাক্ষাৎকারে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বললেন, “আসলে কী বলো তো, তুমি যদি মনে করো তোমার ওপর কোনো কিছু প্রভাব ফেলবে, তাহলে তুমি আক্রান্ত হবে। আমি এগুলোর আঁচ গায়ে লাগতে দিই না। যারা এ ধরনের কুরুচিকর মন্তব্য লেখেন, তাদের মনুষ্যত্ব বোধটাই কম। আমি এ নিয়ে কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন দেখি না।”

রচনা এখানেই থামলেন না। বললেন, “দিদির সঙ্গে আমার বহুদিনের পরিচয়। আমি খুশি, আমি ভাগ্যবান যে, দিদি আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। বাকিটা তো প্রচুর দায়িত্বের কাজ।”

সবদিক সামলে রাজনীতি কতটা সামাল দিতে পারবেন রচনা?

যখন কাজ শুরু হবে তখন আমি আপনাদের উত্তর দেব, কীভাবে সামলাচ্ছি। এখন শুধু প্রচারের মধ্যে আছি।

দিদি নাম্বার ওয়ানে যে রচনাকে দেখা যায়, তিনি শৌখিন। রিয়েলিটি শো করেন। সেই দিদির মধ্যে সত্যিই কতটা শক্তি রয়েছে, তার পরখ এখনও হয়নি। এই যে ‘প্রচুর দায়িত্বের’ কথা বললেন রচনা, তিনি কি পারবেন সেই দায়িত্ব সামলাতে? শুধু তো রাজনীতি নয়; ব্যবসার কাজ আছে, একজন মা তিনি, এখন বাড়তি দায়িত্ব রাজনীতি।

রচনার দাবি, তিনি সবটাই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বললেন, “এখনও তো সেই অর্থে কাজ শুরু হয়নি। এখন তো শুধু প্রচার চলছে। যখন কাজ শুরু হবে তখন আমি আপনাদের উত্তর দেব, কীভাবে সামলাচ্ছি। এখন শুধু প্রচারের মধ্যে আছি। এটা একটা অন্য ধরনের কাজ। কিন্তু, এরপরের কাজটা তো মানুষের জন্যে কাজ! তখন তো আর প্রচার নয়। তখন কাজ করতে হবে।”

লাটে উঠেছে ডায়েট

একজন নতুন মানুষ, যিনি কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তিনি আজ হুগলিতে এসে এতটা ভালোবাসা পাচ্ছেন, হয়তো সেটা শোয়ের জন্যই।

ওড়িয়া ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় রচনার হাতেখড়ি। রুপোলি পর্দায় ইমেজ ধরে রাখতেও পরিশ্রম রয়েছে। এতদিন প্রচুর ডায়েট বা আনুষঙ্গিক নিয়মকানুন মেনে চলতেন। এখন প্রায় লাটে উঠেছে সেসব। প্রচার শেষ হলে আবার তিনি তার আগের নিয়মে ফিরবেন। রচনা হেসে বলেন, “যতটা মেনে চলা যায় আর কি! যা গরম পড়েছে ...।”

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফিল্মি ক্যারিয়ারে ভাটা পড়েছে অনেক দিন হলো। তবে তিনি জনপ্রিয়। কারণ, তার রিয়েলিটি শো। দিদি নাম্বার ওয়ান কি মনে করছেন, সেই জনপ্রিয়তাই তাকে ভোটেও উতরে দেবে?

রচনা সহজ উত্তর দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, সেটা তার অ্যাডভান্টেজ বইকি। তার কথায়, “একজন নতুন মানুষ, যিনি কোনোভাবেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তিনি আজ হুগলিতে এসে এতটা ভালোবাসা পাচ্ছেন, হয়তো সেটা শোয়ের জন্যই। কিন্তু আমি চাই আমার মতো করেই তাদের পাশে থাকতে।”

'দিদি নাম্বার ওয়ান' চালিয়ে যাবেন

আমি যদি না পারি, তাহলে এত বছর ধরে দিদিদের কী শেখালাম?

কথায় কথায় রচনা এও বললেন, ভোটে জিতলেও 'দিদি নাম্বার ওয়ান' তিনি চালিয়ে যাবেন। “আমি যদি না পারি, তাহলে এত বছর ধরে দিদিদের কী শেখালাম? আমি তো বলে এলাম, তুমি চাইলে সব পারবে, জীবনে সবকিছু করা যায়। আমি নিজেই এবার সেটা দেখিয়ে দিতে চাই। হুগলির পাশে দাঁড়িয়ে একইসঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করা, বন্ধুদের পাশে থাকা, ছেলেকে সময় দেওয়া, 'দিদি নাম্বার ওয়ান'– সবই ম্যানেজ করে নেব!”

কিন্তু সময় কীভাবে পাবেন? রচনাকে মনে করিয়ে দেওয়া গেল বাকিদের কথা। এই যেমন ধরুন– দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান। সংসদে কিন্তু কারোরই বিশেষ উপস্থিতি নেই। রাজনীতিটা তারা যেন 'গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের' মতো করে নিয়েছেন। রচনাও কি সেই পথে হাঁটবেন? 'আশা করি তা হবে না', উত্তর অভিনেত্রীর। বললেন, “মানুষ যখন আমার পাশে এতটা প্রত্যাশা নিয়ে পাশে থাকছেন, তাহলে আমি তাদের সেই প্রত্যাশা ভেঙে দিই কী করে? সেটা তো ঠিক নয়। রাজনীতিতে আসা মানে তুমি মানুষের জন্য দায়বদ্ধ। সেখানে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া বা মিথ্যে প্রলোভনটা ঠিক নয়।”

কিন্তু তাহলে অভিনেত্রী রচনাকে আমরা আর দেখতে পাব না? তিনি কি অবসর নিয়েছেন? রচনা তো অনেকদিন আগেই ছবি করা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাকে অবসর বলতে তিনি নারাজ।

তিনি মনে করেন, জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে প্রায়োরিটি বদলায়। “যখন আমার কাজ করার ছিল, চুটিয়ে কাজ করেছি। পাঁচটা ভাষায় কাজ করেছি। কিন্তু একটা সময় মনে হলো, ছেলেকে এবার সময় দেওয়া দরকার। কিন্তু এখন সে বড় হয়েছে। এমন নয় যে মা-কে তার সারাক্ষণ লাগবে। তাই এখন রাজনীতিতে আসতে পারলাম। কিন্তু যখন ছেলের জন্য ছবি করা ছেড়েছি, একটুও কষ্ট হয়নি। তখন তো ওটাই জরুরি ছিল। আমি প্রতিটা মুহূর্তকে গুরুত্ব দিই। কখনও মনে হয়নি, সিনেমার জগৎকে স্যাক্রিফাইস করলাম”, অকপটে বলেন অভিনেত্রী।

বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই কতটা হাড্ডাহাড্ডি হবে?

হুগলিতে রচনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন লকেট। হুগলিতেই কি তাকে শুরু থেকে দেওয়া হয়েছিল? একটা কানাঘুষো ছিল, তাকে তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হতে পারে। রচনার সাফ কথা, "এগুলো দিদি ঠিক করেন।"

লকেট তো বড় রাজনীতিবিদ। আমার চেয়ে সিনিয়র। অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আমি একেবারে আনকোরা।... কিন্তু আমার একটাই অস্ত্র, ভালোবাসা।

তবে একাধিক আসনে তার নাম জল্পনায় ছিল, সেটা তিনি জানতেন। যেমন কাঁথি, তমলুক, হুগলি। শেষে হুগলি চূড়ান্ত হয়। রচনার তাতে আক্ষেপ নেই। “মেদিনীপুরে তো আমি প্রচুর শো করেছি। এমন নয় যে কাউকে বঞ্চিত করা হলো।”

কিন্তু লকেট তো ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার সহকর্মী। একসঙ্গে কাজ করেছেন। রীতিমতো তুইতোকারির সম্পর্ক। কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে?

রচনা মানছেন, লড়াই জোরদার হবে। “লকেট তো বড় রাজনীতিবিদ। আমার চেয়ে সিনিয়র। অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আমি একেবারে আনকোরা। শুধু ভালোবাসা ছাড়া আমার কাছে কিছুই নেই। লকেট রাজনীতির মানুষ। ও কী করবে, আমি জানি না। কিন্তু আমার একটাই অস্ত্র, ভালোবাসা।” তবে অনেকদিন লকেটের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই রচনার। “অনেকদিন আগে ছবি করতাম। তারপর আর সেভাবে যোগাযোগ থাকেনি।”

লকেট ইতোমধ্যে হুগলির সাংসদ। এলাকা চেনেন। পোড়খাওয়া নেত্রী। আপনি চেনেন হুগলি? কী কী কাজ করবেন? এসব প্রশ্নে রচনা বলেন, শো করতে অনেকবার হুগলি এলেও সেই অর্থে তার বাইরে হুগলির সঙ্গে আলাপ ছিল না তার। আত্মীয়স্বজন কেউ নেই। তবে কাজ করতে চান। “বলাগড়ে গঙ্গার ভাঙন নিয়ে ইতোমধ্যে দিদি কাজ শুরু করেছেন। আর্সেনিকমুক্ত জল, পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের কাজটাও দিদি শুরু করেছেন। এর বাইরে সবার সঙ্গে বসতে হবে, নির্বাচিত হলে হুগলিতে গিয়ে সমস্যাগুলো আমায় বুঝতে হবে। তবেই সেগুলো সংসদে তুলতে পারব।”

সন্দেশখালির ঘটনা ভোটার ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে?

এর বাইরেও অত্যাচারিতরা যা যা অভিযোগ করছেন, তা নথিভুক্ত হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে সাজা দেওয়া হবে।

মহিলাদের স্বনির্ভরতার কথা বলছেন রচনা। তার শো দিদি নাম্বার ওয়ানেও এই থিমে তিনি কথা বলেন। এদিকে মহিলাদের কথা উঠলেই এখন পশ্চিমবঙ্গে উঠে আসছে সন্দেশখালির ঘটনা। এটা কি প্রভাব ফেলবে? রচনা মানতে চান না। “যারা দোষী তারা তো সাজা পেয়েছেন। এর বাইরেও অত্যাচারিতরা যা যা অভিযোগ করছেন, তা নথিভুক্ত হচ্ছে। দোষ প্রমাণিত হলে সাজা দেওয়া হবে। দিদি অ্যাকশন নেওয়া শুরু করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাই শুরুর দিকে সন্দেশখালির যে অবস্থা ছিল, এখন তো সেরকম নেই। বিচার তারা পাচ্ছেন।”

কিন্তু সেসব তো সিবিআই তদন্তে হচ্ছে। ব্যাপারটা কি আরও উস্কে গেল না? রচনা এখানেও দিদির প্রতি অটল বিশ্বাস রাখছেন। “উস্কানি তো বিরোধীপক্ষ দেবেই। সেটাই তাদের কাজ। করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাতে তো প্রভাবিত হলে চলবে না। দিদি যেটা করছেন, আমার মনে হয়, মানুষের একদম চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, তিনি একজন নারী। তিনি কখনও অন্য নারীর অসম্মান সহ্য করবেন না।”

ধোঁয়া নিয়ে বিতর্ক

কিন্তু আপনি যে ধোঁয়া নিয়ে এত বিতর্কে জড়ালেন। তারপর রিলও বানালেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হলে আরও কারখানা হবে?

জানতে চাইলে রচনা বললেন , “শিল্প করাটা তো হাতের মোয়া নয়। আজ চাইলাম আর কালকে রাস্তার ধারে একটা শিল্প হয়ে গেল! শিল্প বা কারখানা তৈরির একটা পদ্ধতি আছে। একটা সময়ের ব্যাপার আছে। প্ল্যানিং, তার স্যাংশন হওয়া ইত্যাদি অনেক ব্যাপার থাকে। সেই মতো শিল্প হয়। অনেক নামকরা কোম্পানির ওখানে কারখানা হচ্ছে, আগামী দিনেও হবে, যদি আমরা দিদিকে আবার আনতে পারি। তখন দিদি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের জন্য যেটা করতে পারবেন, আমার মনে হয় না অন্য কেউ আর সেটা স্বপ্নেও দেখতে পারবেন।”

শুধু ভালোবাসায় কি 'চিঁড়ে ভিজবে'?

পাড়া বা ক্লাব, জীবনে কোথাও কোনো নির্বাচনে লড়েননি। তাহলে সাধারণ মানুষ আপনাকে কেন ভোট দেবেন? “আমি বললাম, আমার একটাই জিনিস আছে। ভালোবাসা। আমি মানুষের জন্য ফিল করতে পারব। আমার ভালোবাসা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারব। তার বাইরে কিছু নয়।”

ও ওর চিন্তায় বিশ্বাসী। ও ওর মতো করে কথা বলছে। কিন্তু আমি তো আমার চিন্তায় বিশ্বাস করি।

কিন্তু শুধু ভালোবাসায় কি চিঁড়ে ভিজবে? রচনাকে বলতে হয়, সাধারণ মানুষ যখন বিরোধী নেত্রীকে ভোট দিয়েছিল, তারা কী ভেবে দিয়েছিল তিনি জানেন না। তারা আদৌ উপকৃত হয়েছে কিনা, সেও তার অজানা। “কিন্তু আমি শুধু জানি, তারা এই ভেবে আমার পাশে থাকতে পারে যে, রচনাদি অন্তত মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে বা ভাঁওতাবাজি করে পাশে থাকতে আসেনি।”

তবে হুগলির মানুষ তো বলছেন যে, আগের সাংসদকে নির্বাচনের পরে আর দেখা যায়নি। ওদিকে লকেট বলছেন, জিতলে আপনাকেও দেখা যাবে না। আপনি সাত দিনে চলে যাবেন! রচনার জবাব, “ও কী ভাবছে, সেই নিয়ে আমার ভাবলে হবে, বলো? আমাকে তো আমার দিকটা ভাবতে হবে। ও ওর চিন্তায় বিশ্বাসী। ও ওর মতো করে কথা বলছে। কিন্তু আমি তো আমার চিন্তায় বিশ্বাস করি। আমি যখন কোনো কিছুতে কমিট করেছি, আমি আমার একশ ভাগ দিয়েই থাকব।”

তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ব না: রচনা

কিন্তু হেরে গেলে কি রাজনীতির ময়দান ছেড়ে চলে যাবেন? রচনা বলেন, তিনি আনুগত্যে বিশ্বাসী। “আমি কিন্তু দিদির পাশ ছেড়ে চলে যাব না। আমি চাইলে অনেক আগেই বিরোধী দলে নাম লেখাতে পারতাম। কিন্তু আমি নারীশক্তিতে বিশ্বাসী। আমি গর্বিত, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী ও তিনি আমাদের জন্য লড়াই করছেন। আমি জিততে না পারলেও দিদির পাশেই থাকব। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ব না।”

ভয়েস অফ আমেরিকার হয়ে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঐশী মুখোপাধ্যায়।

XS
SM
MD
LG