দেশের একাধিক অঞ্চলে রেকর্ড তাপমাত্রার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় দীর্ঘ এক মাস ব্যাপী সাধারণ নির্বাচনের অন্তিম ধাপ। শনিবার, ১ জুন, ২০২৪।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার বিরোধীরা উভয়েই দাবি করেছেন যে তারা মূলত বৈষম্য এবং ধর্মকে ঘিরেই নির্বাচনে জয়লাভ করবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের ভোটাররা ১৯ এপ্রিল থেকে সাত পর্বের নির্বাচনে ভোট দেওয়া শুরু করেন, যেখানে প্রায় একশ কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য।
মোদীর নির্বাচনী এলাকা, হিন্দুদের পবিত্র শহর বারাণসীসহ শেষ ৫৭টি আসনে ভোটদানের পর ভোটগ্রহণের সমাপ্তি ঘটবে।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শক্ত ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও শনিবার তার ভোট দিয়েছেন।
আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ শনিবার ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত। এর মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা, এবং তার পাশাপাশি উত্তরের রাজ্য পাঞ্জাব।
টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ের আশা করছেন মোদী।
এই নির্বাচন মোদী এবং তার ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপিকে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে কিছু ক্ষমতাশালী আঞ্চলিক দল সহ দুই ডজনেরও বেশি বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। তবে বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, সংসদের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মোদী ও বিজেপি।
মোদী এবং প্রধান বিরোধী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উভয়েই একে অপরের জন্য বড় রকমের পরাজয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন, এবং বলেছেন যে তাদের নিজ নিজ জোট পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।