হর্ন অফ আফ্রিকার ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ক্রমবর্ধমান পুনরুত্থানের সাথে জড়িত উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্র তার লক্ষ্যবস্তু করে সোমালিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী মনোনিবেশ জোরআই এস দার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে, আই এস’এর আঞ্চলিক গোষ্ঠী, আইএস-সোমালিয়া ইসলামিক স্টেটের বৈশ্বিক আর্থিক নেটওয়ার্কের মূল অংশ থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতাকে আশ্রয় দেয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, শীর্ষ আইএস নেতারা আফ্রিকাকে “এমন একটি স্থান হিসেবে দেখেন যেখানে তাদের বিনিয়োগ করা উচিত, যেখানে তারা আরও কাজ করার পরিবেশ পাবে এবং আরও ভালোভাবে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে এবং তারা সম্প্রসারণ করতে চায়। তাই তারা খলিফাকে ওই অঞ্চলে নিয়ে এসেছে।”
গোয়েন্দা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, “খলিফা কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন, যা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। একে আমরা তাদের (আইএস-এর) বিকাশ ও সম্প্রসারণের অনুমোদন হিসেবে দেখি।”
আইএস-এর আমির আবু হাফস আল-হাশেমি আল-কুরাশি সিরিয়া বা ইরাক থেকে ইয়েমেন হয়ে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত পুন্টল্যান্ড অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন বলে সোমালিয়ায় গুজবের ঢল বয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যায়ন প্রকাশিত হলো।
ইয়েমেন থেকে যোদ্ধা ও অপারেটিভদের আগমনের কারণে আইএস-সোমালিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সোমালি নিরাপত্তা কর্মকর্তার সতর্কতার পরে এটি প্রকাশিত হয়েছে।
সোমালিয়ায় আইএসের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মনোযোগের প্রমাণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অপর একজন কর্মকর্তা সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে নিশ্চিত করেছেন যে, গত মাসের শেষের দিকে বোসাসো শহর থেকে ৮১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ধাদার এলাকায় আইএস-সোমালিয়ার নেতা আব্দুলকাদির মুমিনকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
৩১ মে’র হামলা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা কমান্ডের প্রাথমিক মূল্যায়নে তিনজন আইএস জঙ্গি নিহত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। সোমবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা বলেন, নিহতদের মধ্যে মুমিন একজন কি না তা স্পষ্ট নয়।