যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ইরানি ষড়যন্ত্রে তেহরানের সাথে সম্পর্ক আছে এমন এক পাকিস্তানিকে মূল বলে মনে করা হচ্ছে, যে ব্যক্তি অন্যান্য উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তাদেরও লক্ষ্যবস্তু বানাতে চেয়েছিলেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ৪৬ বছর বয়সী আসিফ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনানি শুরু করে বলে, আসিফ এই এপ্রিলে ইচ্ছুক হিটম্যানদের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।
কিন্তু ফৌজদারি অভিযোগে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চেষ্টায় মার্চেন্ট যার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পৌঁছানোর পরে প্লটটি ব্যর্থ হয়।
এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এক বিবৃতিতে বলেন, "মঙ্গলবারের অভিযোগে ভাড়ায় হত্যার যে বিপজ্জনক ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়েছে, তা ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন এক পাকিস্তানি নাগরিকের পরিকল্পিত এবং এটি সরাসরি ইরান থেকে শুরু হয়েছে।”
নিউ ইয়র্কে প্রকাশিত ফৌজদারি অভিযোগে মার্চেন্টের ষড়যন্ত্রের জন্য কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা হয়নি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তেহরান সম্পর্কিত হুমকির কারণে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা বৃদ্ধি করেছিলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে এটি প্রকাশিত হয়।
মঙ্গলবার হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, হুমকিগুলো একইরকম ছিল।
মঙ্গলবারের অভিযোগগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আমেরিকান এবং ইরানের অন্যান্য শত্রুদের হত্যার জন্য পরিকল্পিত বানচাল ষড়যন্ত্রের ক্রমবর্ধমান তালিকার সর্বসাম্প্রতিকতম।
জুনে নিউ ইয়র্কে বৈঠকের সময় মার্চেন্ট একটি তিন অংশের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুর বাড়ি থেকে নথি বা কম্পিউটার ফাইল চুরি করা, বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে লক্ষ্যবস্তুকে হত্যা করা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মার্চেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হিটম্যান সেজে দুজন ছদ্মবেশী এজেন্টকে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জুনের শেষের দিকে পাঁচ হাজার ডলার অগ্রিম অর্থ প্রদান করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের ফিরে যাওয়ার পর বাকি অর্থ পাওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা মার্চেন্টকে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যাওয়ার আগে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করেছিলেন।
প্যাটসি উইডাকুসওয়ারা এবং লিন ডেভিস এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।