যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোর পাশাপাশি ইন্টারনেট-সংযুক্ত বিভিন্ন ডিভাইসে আরও অনুপ্রবেশের জন্য চীন-নির্দেশিত হ্যাকারদের একটি বটনেট প্রচারণা যুক্তরাষ্ট্র সনাক্ত করে সেটিকে সরিয়ে দিয়েছে।
এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বুধবার ওয়াশিংটনে একটি সাইবার সামিটে তার ভাষায় ফ্ল্যাক্স টাইফুন বিঘ্নিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে এটিকে বেইজিং-এর বৃহত্তর প্রচারণার অংশ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রে বলেন, হ্যাকাররা ইন্টেগ্রিটি টেকনোলজি গ্রুপ নামে একটি তথ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশে কাজ করে বিভিন্ন কর্পোরেশন, গণমাধ্যম সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে
তিনি বলেন, “তারা ইন্টারনেট-সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করেছিল। এবার তারাএকটি বটনেট তৈরি করতে সেরকম কয়েক হাজার ডিভাইস ব্যবহার করে, যা হ্যাক করতে এবং গোপনীয় ডেটা সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহে যখন এফবিআই মিত্রদের সাথে এবং আদালতের নির্দেশে কাজ করে, বটনেটের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং হ্যাকাররা ব্যাকাপ সিস্টেমে সুইচ করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে তখন ফ্ল্যাক্স টাইফুনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
ভোল্ট টাইফুন রাউটার, ফায়ারওয়াল এবং ভিপিএন হার্ডওয়্যারসহ অফিস নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনাগুলোর মূল আবাস গুয়ামের যোগাযোগ অবকাঠামোতে অনুপ্রবেশ করে।
বুধবার ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফ্ল্যাক্স টাইফুন সম্পর্কে অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ ভয়েস অফ আমেরিকাকে একটি ইমেইলে বলেন, “বৈধ প্রমাণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র একটি অযাচিত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।
এফবিআইয়ের বুধবারের ঘোষণার পরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুরক্ষা সংস্থা (এনএসএ) ফ্ল্যাক্স টাইফুন দ্বারা আক্রান্ত ডিভাইসসহ যে কাউকে প্রয়োজনীয় প্যাচ প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করে একটি পরামর্শ জারি করেছে
এতে বলা হয়, গত জুন পর্যন্ত ফ্ল্যাক্স টাইফুন বটনেট উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ডিভাইস ব্যবহার করেছে।
এনএসএ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ডিভাইসগুলোর প্রায় অর্ধেকই যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, আলবেনিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতসহ ১৮টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে।