পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার সোমবার জানান, লেবাননে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবার পর যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অল্প সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে।
কী সংখ্যাক সেনা পাঠানো হচ্ছে বা তারা কী করবে সে সম্পর্কে রাইডার আরও বিস্তারিত কোনো বিবরণ দেননি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, সেনা সংখ্যা কয়েক ডজন হবে এবং তাদের প্রাথমিক কাজ হবে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্ভাব্য সামরিক সহায়তায় প্রস্থানে সাহায্য করা।
যুক্তরাষ্ট্রের অপর একজন কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি এখনো এমন পর্যায়ে আসেনি যেখানে সামরিক বাহিনীর সহায়তায় প্রস্থানের প্রয়োজন ছিল।
অন্য এক কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, যদি সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজন হয় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কাছাকাছি এলাকায় মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে যারা মিশনটি পরিচালনা করতে পারে। সবাই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় নিরাপত্তার স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।
সোমবার ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রশ্নের জবাবে রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, পেন্টাগন একটি ‘পরিকল্পনা সংস্থা’ যারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য ডাকা হলে ‘বিভিন্ন ধরনের আকস্মিকতার’ জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, “গত ১৪ এপ্রিল ইরান যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তখন আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছিলাম, এখন তার চেয়ে এ অঞ্চলে আমাদের সক্ষমতা বেশি।”
লেবাননের অভ্যন্তরে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি বাহিনীর কয়েক দফা হামলায় কয়েক শ মানুষ নিহত হওয়ার পর এই ঘোষণা এলো। আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমেরিকানদের লেবানন ছাড়ার জন্য সতর্ক করেছে।