অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের অঙ্গীকার, ইরানের পাল্টা হুমকি

০৫:৪৩ ২.১০.২০২৪

ইসরায়েলের উপর ইরানের হামলা সম্পর্কে যা জানা গেছে

ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় ইসরায়েলর উপর হামলার সমর্থনে আনন্দ-বিক্ষোভ। ফটোঃ ১ অক্টোবর, ২০২৪।
ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় ইসরায়েলর উপর হামলার সমর্থনে আনন্দ-বিক্ষোভ। ফটোঃ ১ অক্টোবর, ২০২৪।

ইসরায়েলের উপর ইরানের দ্বিতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলাফলের পূর্ণ চিত্র এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে যা জানা গেছে, তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলঃ

০৪:১৮ ২.১০.২০২৪

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব নিয়ে ইসরায়েল আর ইরানের পাল্টা-পালটি হুমকি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার রাতের দিকে ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

“ইরান আজ রাতে বড় একটা ভুল করেছে এবং সেজন্য তাদের মূল্য দিতে হবে,” তিনি বলেন।

অন্যদিকে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস বাহিনী (আইআরজিসি) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে ইসরায়েল যদি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়, তাহলে ইরান তাদের বিরুদ্ধে “বিধ্বংসী আক্রমণ” চালাবে।

“জাওনিস্ট সরকার যদি ইরানের অভিযানের জবাব দেয়, তাহলে তারা বিধ্বংসী আক্রমণের মুখে পড়বে,” তারা বলে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ইরানের “অভিযান শেষ হয়েছে, যদি না ইসরায়েলি সরকার আরও পাল্টা হামলা নিজেদের কপালে ডেকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।”

রেভোলিউশনারি গার্ডস বাহিনী ইসরায়েলের সমর্থনে তৃতীয় কোন দেশের সরাসরি অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থও শক্তিশালী আক্রমণের মুখে পড়বে।”

ইরান মঙ্গলবার ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং হামাস নেতাদের হত্যার জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে এক রাশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে গোটা ইসরায়েলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয় এবং লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

০৩:৪৬ ২.১০.২০২৪

ইরান দাবী করছে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র 'লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে'

Demonstrators celebrate during a rally outside the British Embassy in Tehran on October 1, 2024, after Iran fired a barrage of missiles into Israel in response to the killing of Hezbollah leader Hassan Nasrallah and other Iranian-backed militias.
তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমর্থনে ইরানিদের বিক্ষোভ। ফটোঃ ১ অক্টোবর, ২০২৪।

ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস বাহিনী (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে দাবী করেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের (তাদের ভাষায় ‘অধিকৃত এলাকা’) কৌশলগত সামরিক কেন্দ্রগুলোকে নিশানা করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয় আক্রমণে “কিছু বিমান বাহিনী এবং রেডার ঘাঁটি” এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার কেন্দ্র লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

“এই অভিযানে ষড়যন্ত্র এবং প্রতিরোধের নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে শহিদ ড. ইসমাইল হানিয়েহ এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা শহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ডার আর রেভোলিউশনারি গার্ডস বাহিনীর কমান্ডারদের হত্যা করার পরিকল্পনা কেন্দ্র আঘাত করা হয়,” বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে আইআরজিসি দাবী করে, ঐ এলাকা অত্যাধুনিক এবং ব্যাপক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় থাকা সত্ত্বেও ৯০ শতাংশ ক্ষেপনাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। “জাওনিস্ট সরকার ইসলামী প্রজাতন্ত্রের গোয়েন্দা এবং কার্যক্ষমতা দেখে ভীত,” বিবৃতিতে বলা হয়।

তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরানের নিক্ষেপ করা ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্রর ‘বেশির ভাগ’ তারা ভূপাতিত করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও সীমিত বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আইআরজিসি বলে, মঙ্গলবারের আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকারের ভিত্তিতে করা হয়।

ইরান মঙ্গলবার ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এবং হামাস নেতাদের হত্যার জবাবে ইসরায়েল লক্ষ্য করে এক রাশ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে গোটা ইসরায়েলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয় এবং লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

(এই রিপোর্টে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে)

০২:১৭ ২.১০.২০২৪

হামাস ইসরায়েলের উপর ইরানের হামলার প্রশংসা করেছে

Iraqi celebrate on a street, after the IRGC attack on Israel, in Najaf
ইরাকের নাজাফ শহরে ইরাকি যুবকরা ইসরায়েলের উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আনন্দ প্রকাশ করে। ফটোঃ ১ অক্টোবর, ২০২৪।

গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রশংসা করেছে।

হামাস বলছে, ‘শহিদদের’ হত্যার বদলা নিতে এই আক্রমণ চালানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে গত শুক্রবার বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ’র মৃত্যু।

“ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) অধিকৃত এলাকার বড় অংশ লক্ষ্য করে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড বাহিনীর বীরোচিত রকেট নিক্ষেপকে সাধুবাদ জানায়,” হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়।

হামাস যোগ করে যে, আক্রমণ ছিল “আমাদের বীরোচিত শহিদদের রক্তের প্রতিশোধ।”

আরও লোড করুন

XS
SM
MD
LG