পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে দেশটির প্রশাসন “যেসব এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে” সেখানে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রাখে।
সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) এই ঘোষণাটি পোস্ট করে। তবে ঘোষণায় স্থগিতাদেশের আওতাধীন এলাকার নাম উল্লেখ করা হয়নি বা জানানো হয়নি, কতক্ষণের জন্য এসব সেবা স্থগিত থাকবে।
পোস্টে বলা হয়, “দেশের অন্যান্য অংশ ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকবে”।
ইমরান খান এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন এবং তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে দেশটিতে তিনি জনপ্রিয় এবং তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা সংক্ষেপে পিটিআই বলছে, এই মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তার সমর্থকরা মুক্তির দাবি জানাতে সামাজিক মাধ্যমের ওপর বড় আকারে নির্ভর করেন এবং যেকোনো আসন্ন কর্মসূচির সময়সীমা ও অন্যান্য তথ্য আদানপ্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন।
ইন্টারনেট অ্যাডভোকেসি গ্রুপ নেটব্লকস জানিয়েছে, সরকার সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে এবং ভিপিএন সেবাগুলো বন্ধের চেষ্টা করছে। এই গ্রুপটি বলছে, রবিবার লাইভ মেট্রিকস থেকে দেখা গেছে, পাকিস্তানে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকএন্ড সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে, এই মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও আদানপ্রদান বিঘ্নিত হয়েছে।
রাজধানীতে অবস্থানরত আমেরিকানদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস একটি নিরাপত্তাসূচক সতর্কবাণী জারী করেছে। নাগরিকদের অনেক মানুষের জমায়েত এড়িয়ে চলতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। দূতাবাস হুশিয়ারি দেয়, “এমন কী, শান্তিপূর্ণ সমাবেশও সহিংস হয়ে উঠতে পারে।”
গত মাসে কর্তৃপক্ষ ইমরান খানের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভ-সমাবেশ নস্যাত করার জন্য ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিণ্ডিতে মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখে। এতে যোগাযোগ বিঘ্নিত হয় এবং ব্যাংকিং, রাইড-শেয়ারিং ও খাবার ডেলিভারির মতো সেবাগুলো প্রভাবিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি দাবি করেছেন, শুধু মোবাইল ডাটায় প্রভাব পড়েছে। মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখা হয়নি।