অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত কলম্বিয়ান অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বিমান পাঠালো কলম্বিয়া


যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত কলম্বিয়ানদের বোগোতার এল ডোরাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যাচ্ছে। ২৮ জানুয়ারি ২০২৫।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত কলম্বিয়ানদের বোগোতার এল ডোরাডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যাচ্ছে। ২৮ জানুয়ারি ২০২৫।

মঙ্গলবার দিনের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ১১০ জন কলম্বিয়ানকে নিয়ে তাদের বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ কলম্বিয়ায় অবতরণের কথা রয়েছে।

রবিবার কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত কলম্বিয়ানদের বহনকারী আমেরিকান যুদ্ধবিমান অবতরণ করতে না দেওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। এই বিবাদের জেরে পরবর্তীতে স্যান ডিয়েগো এবং হিউস্টন থেকে নিজ দেশের দুই ফ্লাইটে করে ওই কলম্বিয়ান নাগরিকরা দেশে ফিরছেন।

পেত্রো জানান, এ ধরনের আচরণ অসম্মানজনক। তিনি আমেরিকার উড়োজাহাজ অবতরণ করতে দিতে অস্বীকার করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। পেত্রো জবাব দেন, তিনিও একই কাজ করবেন। পরবর্তীতে দুই দেশ জানায়, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

পেত্রো জানান, কলাম্বিয়ার বিমানবাহিনীর ফ্লাইটে অভিবাসীরা “বিনা হাতকড়ায়” বাড়ি ফিরতে পারবেন।

ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সব অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। গত সপ্তাহে শপথ নেওয়ার পর থেকেই এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছেন তিনি। সোমবার তিনি জানান, যদি কোনো দেশ দ্রুত অভিবাসন প্রত্যাশীদের ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে “তাদের অর্থনীতিকে উচ্চ মূল্য চুকাতে হবে এবং আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পণ্যের ওপর বড় আকারে আমদানি শুল্ক আরোপ করব।”

যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও ফ্লাইটের মাধ্যমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহিষ্কার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট অভিবাসন ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর এ ধরনের শত শত ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহারের বিষয়টি নতুন। এর আগে এই সংস্থাগুলো বাণিজ্যিক ও চার্টার্ড ফ্লাইট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG