জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ২০২৫ সালের অর্থায়নে তাঁদের কাজকে সহায়তা বাবদ ৫০ কোটি ডলারের জন্য বৃহস্পতিবার আবেদন জানিয়েছেন। এই কাজগুলির মধ্যে রয়েছে সিরিয়া থেকে সুদান পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তদন্ত করা। তিনি সতর্ক করে দেন যে মানুষের জীবন বিপদসঙ্কুল অবস্থায় রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ক্রমাগত অর্থায়ন ঘাটতি মোকাবিলা করে চলেছে এবং কেউ কেউ এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন যে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। অর্থায়নের জন্য এই বার্ষিক আবেদনটি, সদস্য-রাষ্ট্রগুলির নিয়মিত চাঁদা থেকে সংগৃহীত অর্থের অতিরিক্ত। ওই চাঁদার অর্থ দপ্তরের প্রয়োজনের ভগ্নাংশ মাত্র।
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার ভল্কার টুর্ক জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে বলেন,“২০২৫ সালে মানবাধিকার বিষয়ে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি থেকে আমরা মুক্ত হবো এমনটি আশা করছি না”।
তিনি বলেন,“আমি উদ্বিগ্ন যে আমরা যদি ২০২৫ সালে আমাদের অর্থায়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারি আমরা লোকজনকে বিপদের মুখে ফেলে দিবো এবং পর্যাপ্ত সহায়তা ছাড়া আমরা সম্ভবত ব্যর্থ হবো”।
তিনি বলেন যে কোন ঘাটতির মানে হচ্ছে লোকজন অবৈধ ভাবে আটক হবেন, সরকারগুলিকে বৈষম্যপূর্ণ নীতিগুলি অব্যাহত রাখতে দেওয়া হবে, মানবাধিকার লংঘনের কোন রেকর্ড থাকবে না এবং মানবাধিকারের সমর্থকরা সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন।
টুর্ক বলেন, “সংক্ষেপে বলা যায় জীবন ঝুঁকির মুখে”।
জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের প্রায় ৫% পেয়ে থাকে মানবাধিকার দপ্তর তবে তাদের অর্থায়নের বেশির ভাগটাই আসে বৃহস্পতিবারের মতো বার্ষিক আবেদনে যারা স্বেচ্ছায় সাড়া দেন, তাঁদের মাধ্যমে।
জাতিসংঘের উপাত্তে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমি দেশগুলোই সব চেয়ে বেশি অর্থায়ন করে । গত বছর যুক্তরাষ্ট্র, ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার প্রদান করেছিল যা ২০২৪ সালে প্রাপ্ত মোট অর্থের প্রায় ১৫% এবং তারপরের স্থান ছিল ইউরোপীয় কমিশনের। গত বছর তারা যে ৫০ কোটি ডলার চেয়েছিল তার মাত্র প্রায় অর্ধেক পেয়েছিল।