অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ই.ইউ: পাকিস্তানের বানিজ্যিক সুবিধা রক্ষার জন্য প্রয়োজন মানবাধিকার উন্নয়ন


ফাইল- জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত ওলোফ স্কুগ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন। নিউ ইয়র্ক সিটি, ২৭ অক্টোবর,২০২৩।
ফাইল- জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত ওলোফ স্কুগ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিচ্ছেন। নিউ ইয়র্ক সিটি, ২৭ অক্টোবর,২০২৩।

ইউরোপের বানিজ্যিক বাজারে পাকিস্তানের শুল্কমুক্ত রপ্তানীকারক হওয়ার সঙ্গে সে দেশের “সব চেয়ে জরুরি” মানবাধিকারের বিষয়টিকে সংযুক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ওলোফ স্কুগ দক্ষিণ এশিয়ার ওই দেশটিতে এক সপ্তাহব্যাপী সফর শেষে তিনি সতর্কবার্তা দেন। সে দেশে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নাগরিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক ভিন্নমত ও স্বাধীন ভাবে বক্তব্য রাখাকে দমন করার ক্রমবর্ধমান অভিযোগ হচ্ছে ।

সফরের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্কুগকে উদ্ধৃত করে যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে “জিএসপি প্লাস (মানবাধিকার উন্নয়ন পরিকল্পনা)’এর বানিজ্যিক সুবিধা লাভ করা নির্ভর করছে মানবাধিকার ও টেকসই সংস্কারের মতো একাধিক বিষয়ের প্রতি নজর দেয়া খুব জরুরি”।

তিনি জেনারেলাইজড স্কিম অফ প্রেফারেন্সেস প্লাস যা সাধারণত জিএসপি প্লাস বলে পরিচিত সেটির কথাই বলছিলেন। এই জিএসপি পাকিস্তানসহ উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের সুনির্দিষ্ট মানবিক ও শ্রমিক অধিকারের কর্তব্য পালনের বিনিময়ে িইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।

ই.ইউ’র বিবৃতিতে জানানো হয় যে তাদের দূত পাকিস্তানি নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে উদ্বেগের জায়গাগুলি তুলে ধরেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্ম অবমাননা আইন, বাধ্যতামূলক ভাবে গুম করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, অধিকার লংঘনের অপরাধ থেকে দন্ডমুক্তি, সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করা, ন্যায় বিচার, নাগরিকদের নিজস্ব জায়গা এবং মৃত্যুদন্ড।

স্কুগ বলেন, “ আমরা যখন বর্তমান নজদারি চক্রের মাঝামাঝি দিকে যাচ্ছি এবং যখন পাকিস্তান নতুন জিএসপি+ আইনের অধীনে আবেদন জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে , আমরা পাকিস্তানকে তার সংস্কারের পথ অব্যাহত রাখতে উত্সাহিত করি”।

এই ঘোষণায় বলা হয় যে “২০১৪ সালে এই বানিজ্যিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের সময় থেকে পাকিস্তান জিএসপি+’এর সব চেয়ে বড় সুবিধাভোগী দেশ । পাকিস্তানের ব্যবসায় ই.ইউ’র বাজারে তাদের রপ্তানির পরিমান ১০৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

XS
SM
MD
LG