সরস্বতী পূজা শুরু হওয়ার তিন দিন আগে ফরিদপুরের একটি কালী মন্দিরে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে জেলার ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার কালী মন্দিরে ঘটনাটি ঘটে। পরে সাড়ে ১২টার দিকে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ওই যুবকের নাম মো. মিরাজউদ্দীন। তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের বাজেদপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
মন্দির কমিটির সদস্য রামচন্দ্র মালো বলেন, "আমাদের মন্দিরটি ভাটিলক্ষ্মীপুরের একটি সড়কের পাশে। শুক্রবার রাত ১১টার কিছু আগে মন্দিরের সামনে একটি ইজিবাইক এসে দাঁড়ায়। এরপর এর চালক মন্দিরের বারান্দায় ঢুকে সরস্বতী প্রতিমা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।"
আগেও এই ব্যক্তি ফরিদপুর শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ইসকন মন্দিরের সরস্বতী প্রতিমা ভেঙেছিল। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর তাকে পাগল বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি রামচন্দ্র মালোর।
এদিকে মন্দির কমিটির দেওয়া এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি সিসিটিভি ফুটেজেও এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
৬ হাজার টাকা চুক্তিতে মৃৎশিল্পীকে দিয়ে এ প্রতিমা বানানো হয় বলে জানান সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র সমর মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমরা এই মন্দিরের পাশের একটি ছাত্রাবাসে থাকি। এখানে আমরা ছাত্ররা মিলে সরস্বতী পূজা করতে চেয়েছিলাম। অনেক বন্ধুকে নিমন্ত্রণও দিয়েছি। কিন্তু প্রতীমা এমন এক সময় ভাঙা হল যে সংস্কারের সময়ও পাওয়া যাবে না।”
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, “আটক যুবককে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) শৈলেন চাকমা বলেন, “মন্দির কমিটির একজন বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হওয়ার পর ওই যুবকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।"