পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, রাতভর বিদ্রোহীদের হামলায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে কমপক্ষে ১৮ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এই হামলা ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে কালাত জেলায় “সন্ত্রাসীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা” করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এর জবাব দিয়েছে এবং একে “কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী হামলা” বলে অভিহিত করে।
বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১২ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কার্যালয় জানায় যে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, শনিবার রাতভর ওই হামলায় অন্তত ১১ জন “সন্ত্রাসী” নিহত ও তাদের গোপন আস্তানা ধ্বংস হওয়ার পর থেকে বেলুচিস্তানজুড়ে ধারাবাহিক নিরাপত্তা অভিযান শুরু হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, “ এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত ঘটনার অপরাধী ও মদদদাতাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত এই পরিচ্ছন্নতার অভিযান অব্যাহত থাকবে”।
নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
গত দুই বছরে বেলুচিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে উল্লেখযোগ্য হারে জঙ্গি হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে হাজার হাজার পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
সরকারি তথ্য ও স্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০২৪ সালেই গোটা দেশে সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নিহত কর্মী সংখ্যা প্রায় ৭০০। এক দশকের মধ্যে সরকারি বাহিনীর জন্য এটি ছিল সব চেয়ে মারাত্মক বছর।