অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পানামা সফরকালে প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে দেখা করলেন রুবিও

ছবিতে পানামা সিটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে দেখা যাচ্ছে। রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নেওয়ার হুমকির পর এটি যুক্তরাষ্ট্র ও পানামার মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক আলোচনা।

রুবিও পানামার শীর্ষ নেতাদের জানান যে, চীন পানামা খালে "অগ্রহণযোগ্য" প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে, পানামা খালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার রক্ষার জন্য "প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা" নিতে হতে পারে।

ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, চীনের প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে খালটি পুনরুদ্ধার করতে হবে, এবং এই দাবি পুনরায় বৈঠকের সময় রুবিওও তুলে ধরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করার পর মুলিনো জোর দিয়ে বলেছেন, খালের সার্বভৌমত্ব কোনো আলোচনা বা বিতর্কের বিষয় নয়।

পানামা সরকার দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে যে, তারা চীনের কাছে খালের পরিচালনা হস্তান্তর করেছে এবং দাবি করেছে যে, তারা সকল ধরনের শিপিংয়ের জন্য খালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯১৪ সালে ৮২ কিলোমিটার (৫১ মাইল) দৈর্ঘ্যের এই জলপথের নির্মাণ সম্পন্ন করে।

খালটি ১৯৯৯ সালে পানামার হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করছে পানামা খাল কর্তৃপক্ষ, যা পানামা সরকারের তত্ত্বাবধানে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।

পানামার জনগণ ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করে খালের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।


XS
SM
MD
LG