অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কোস্টারিকা, গুয়াতেমালায় রুবিও-র সফরকালে অভিবাসন ও নিরাপত্তা সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ


এল সালভাদরের প্রেসিডেন্সি প্রেস অফিস থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এল সালভাদরের এল কঙ্গোতে প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সাথে কথা বলছেন।
এল সালভাদরের প্রেসিডেন্সি প্রেস অফিস থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এল সালভাদরের এল কঙ্গোতে প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সাথে কথা বলছেন।

ল্যাটিন আমেরিকা সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মঙ্গলবার কোস্টারিকা এবং গুয়াতেমালায় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করার কথা। বৈঠকে আলোচনার বিষয় হলো, অভিবাসন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব মোকাবিলা।

সোমবার রুবিও প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের সাথে আলোচনার জন্য এল সালভাদরে ছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন, বুকেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃতদের জাতীয়তা নির্বিশেষে গ্রহণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

আইনগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে পারে না।

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত সালভাদরের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে এল সালভাদর পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করে রুবিও বলেন, এই চুক্তি বিশ্বের যেকোনো জায়গায় নজিরবিহীন, অসাধারণ, বিশেষ অভিবাসন চুক্তি।

বুকেলে এক্স-এ বলেন, তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে “তার কারাগার ব্যবস্থার কিছু অংশ আউটসোর্স করার সুযোগ” দিয়েছে। এল সালভাদর দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের তাদের মেগা কারাগার টেরোরিজম কনফাইনমেন্ট সেন্টারে রাখার জন্য ফি গ্রহণ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বুকেলের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেইজিং-এ রাষ্ট্রীয় সফরের পরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সাথেও বুকেলে সম্পর্ক জোরদার করেছিলেন।

বুকেলের সফরের সময় চীন একাধিক চুক্তির মাধ্যমে মধ্য আমেরিকার দেশটির জন্য লাখ লাখ ডলারের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ফুটবল স্টেডিয়াম, একটি জাতীয় গ্রন্থাগার, একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং জল চিকিৎসা উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এর আগে সোমবার রুবিও পানামার আলব্রুক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে একটি বহিষ্কার ফ্লাইট ছেড়ে যেতে দেখেন। বিমানটিতে কয়েক ডজন অনিবন্ধিত কলম্বিয়ানকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মোট ৩২ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারীকে পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে সাতজনের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, এর মাধ্যমে ‘একটি স্পষ্ট বার্তা’ দেয়া হয়েছে যে যারা অনিয়মিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে প্রবেশ করতে চায় তাদের প্রতিহত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

পানামা সম্প্রতি জানায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দারিয়েন অঞ্চল অতিক্রমকারী অভিবাসীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

মার্গারিট বেশির এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG