দ্য ইকোনমিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেন, তার সরকার আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে এখনো ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি।
সোমবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, “আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট (ডনাল্ড) ট্রাম্প এই অঞ্চলে শান্তি চান এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সিরিয়ার জনগণের দুর্ভোগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্বার্থ নেই।”
গত ৮ ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে শারা আল-কায়েদার সাবেক সহযোগী ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেন।
এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর আসাদকে একঘরে করতে এবং রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে সিরিয়া।
সন্ত্রাসবাদী তকমা ‘অর্থহীন’
শারা বলেন, আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সকল সশস্ত্র দলকে বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্তের পর এইচটিএসের সন্ত্রাসবাদী তকমা ‘অর্থহীন হয়ে পড়েছে।’
এক দশক আগে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানের সময় দেশটিতে সেনা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার মিত্র কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’এর (এসডিএফ) সমর্থনে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখনো তাদের উপস্থিতি রয়েছে।
শারা বলেন, “ নতুন সিরিয়া রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে আমার বিশ্বাস কোন অবৈধ সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে না। একটি সার্বভোম রাষ্ট্রে যে কোন ধরনের সামরিক উপস্থিত হতে পারে নির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় এবং আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোন চুক্তি নেই”।
তিনি আরো বলেন তার প্রশাসন সিরিয়ায়, “ রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতির পূনর্মূল্যায়ন করে দেখেছে”। সিরিয়ায় মস্কো আসাদের পতন ঠেকাতে তাকে সমর্থন করে গেছে।
সিরিয়ায় একটি নৌ ও বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে রাশিয়া গত সপ্তাহে দামেস্কে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে।
শারা বলেন, “আমরা তাদের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারি বা নাও করতে পারি, কিন্তু যেকোনো সামরিক উপস্থিতি স্বাগতিক রাষ্ট্রের চুক্তির মাধ্যমে হওয়া উচিত।”
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা ভাবছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শারা বলেন, ‘আমরা সব পক্ষের সাথে শান্তি চাই’ কিন্তু আঞ্চলিক যুদ্ধ এবং ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে সিরিয়া থেকে দখল করা গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের কারণে এটি স্পর্শকাতর ইস্যু।