তালিবান সতর্ক করে বলেছে, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া সামরিক অস্ত্র এখন“ লুণ্ঠিত সম্পদ” হিসেবে তাদের হাতে রয়েছে। সেগুলো পুনরুদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে এসব ব্যবহার করবে তারা।
গত ২০ জানুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেকের আগে তালিবান নেতাদের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র পুনরুদ্ধারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার জবাবেই মূলত কাবুলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিহীন সরকারের পক্ষ থেকে এই জবাব আসে। এটিই তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া।
সোমবার গভীর রাতে এক্স স্পেস সেশনে অংশ নেওয়ার সময় তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “আফগানিস্তানে আমেরিকা যে অস্ত্র পরিত্যাগ করেছে এবং সাবেক আফগান সরকারকে যেসব অস্ত্র সরবরাহ করেছে, সেগুলো এখন যুদ্ধের লুণ্ঠিত সম্পদ হিসেবে মুজাহিদিন বাহিনীর দখলে রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আফগান জনগণ এখন এসব অস্ত্রের মালিক। তাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা রক্ষায় তারা এগুলো ব্যবহার করছে। কোনো বাহ্যিক শক্তি আমাদের এসব অস্ত্র জমা দিতে বাধ্য করতে পারবে না, আমরা এই নিয়ে তাদের কোনো দাবিও মানি না। যদি কেউ এগুলো দখল করতে আসার সাহস দেখায় তবে এই অস্ত্র দিয়েই আমরা তাদের প্রতিরোধ করব।”
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা সেনারা প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে অবস্থান করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ছিল দেশটির সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে প্রতিহত করা এবং কাবুলে আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকারকে রক্ষা করা। তবে ২০২১-এ তারা তাড়াহুড়া এবং বিশৃঙ্খলভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং তালিবান বিদ্রোহীরা ক্ষমতায় ফিরে আসে।
২০২২ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পর আফগানিস্তানে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম অবশিষ্ট রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ছিল বিমান, আকাশ থেকে মাটিতে আঘাত হানার অস্ত্র, সামরিক যান, অস্ত্র, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য উপকরণ। পরবর্তীতে তালিবান এগুলো দখল করে নেয়।