পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য কূটনৈতিক চিঠিসহ (নোট ভারবাল) প্রাসঙ্গিক নথি ভারতে পাঠিয়েছে। উপযুক্ত সময়ে আবারও তা ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ গ্রেফতারি পরোয়ানা বা প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভারতে পাঠানো হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তারা পাঠিয়েছেন এবং বাংলাদেশ যখন প্রত্যর্পণের বিষয়ে মৌখিকভাবে ভারতকে জানিয়েছিল তখন প্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সময়ের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, এটি একই ধরনের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “নেতৃত্ব যখন মনে করবেন যে এটি করার এখনিই সঠিক সময়, তখন তা করা হবে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোট ভারবাল দেওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি ভারত।
রফিকুল আলম বলেন, “আমরা ভারতের কাছ থেকে সাড়া প্রত্যাশা করছি।”
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে ভারতের জবাবের অপেক্ষায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। নয়া দিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ঢাকার অনুরোধ পেয়েছে নয়াদিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারত
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পেয়েছে ভারত। ৩ জানুয়ারি (শুত্রবার) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা অনুরোধ পেয়েছি। এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠানোর পর এদিন ভারত এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে রণধীর জয়সওয়াল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে, আজ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে একটি কূটনৈতিক চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে (শেখ হাসিনাকে) প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।”