বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো মেনে নিয়ে সেগুলো মোকাবিলায় যৌথ প্রচেষ্টার কথা বলেছেন।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত অষ্টম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের (আইওসি) মধ্যেই দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের এই আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "বৈঠকে তৌহিদ হোসেন গঙ্গা নদীর পানি চুক্তির নবায়নের বিষয়ে আলোচনা শুরুর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।"
তিনি সার্ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে ভারত সরকারকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।
আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সমাধানের ব্যাপারে উভয়পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
সাম্প্রতিক সময়ের নানা ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে।
ভারতের উদ্বেগ
সম্প্রতি ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারত। এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ‘অপ্রত্যাশিত’ ও ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম ৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এরপর শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বাংলাদেশ একটি আলোচনার বিষয় ছিল যেখানে মোদী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে তার "উদ্বেগের" কথা জানিয়েছেন।
মিশ্রি শুক্রবার ওয়াশিংটনে একটি ব্রিফিংয়ের সময় বলেন "শুধু আপনাদের জানানোর জন্য বলছি - এই বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে "তার মতামত, প্রকৃতপক্ষে তার উদ্বেগ" শেয়ার এবং ভারত কীভাবে এই পরিস্থিতিকে "দেখছে" তাও জানিয়েছেন।
ভারত আশা প্রকাশ করেছে যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এমন একটি দিকে "এগিয়ে যাবে" যেখানে তারা বাংলাদেশের সাথে "গঠনমূলক ও স্থিতিশীল উপায়ে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে"।
মিশ্রি যোগ করেন, "কিন্তু সেই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই মতামতগুলি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে শেয়ার করেছেন।"