অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ঢাবি ছাত্রীকে হয়রানি ও হুমকির মুখে মামলা প্রত্যাহারকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে যত আলোচনা


প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত ৫ মার্চ, বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শাহবাগ থেকে ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করেন এক ব্যক্তি। নিজের পোশাক নিয়ে লোকটির বাজে মন্তব্য শোনার পর প্রক্টরকে কল দেয়ার কথা বলেন ছাত্রী, এবং তখনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।

পরে লোকটির ছবি সহ ঘটনার বিবরণী ফেসবুকে পোস্ট করেন ওই ছাত্রী। এবং সেখান থেকে লোকটির ফেসবুক আইডি ও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। জানা যায় উত্ত্যক্তকারী লোকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব।

হেনস্তার শিকার ছাত্রী মোস্তফা আসিফের ছবি সহ ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন: “এই লোকটা আজকে আমাকে শাহবাগ থেকে আসার পথে হ্যারাস করেছে। সে আমাকে হুট করে রাস্তায় দাঁড় করায় দিয়ে বলতেসে আমার ড্রেস ঠিক নাই আমি পর্দা করি নাই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং তার আচরণ খুবই আগ্রেসিভ ছিল। পরবর্তীতে তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি কোন হলে থাকেন কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন। সে বলে সে এই ক্যাম্পাসের কেউ না। উল্লেখ্য আমি সালওয়ার কামিজ পরে ঠিক মত ওড়না পরে ছিলাম। সে আমাকে বলে আমার নাকি ওড়না সরে গেছে। Then আমি তাকে বললাম এইটা তো আপনার দেখার বিষয় না আর আপনার তাকানো ও জাস্টিফাইড না। এরপর আমি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে সে দৌড় দিয়ে চলে যায়।”

পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর উত্ত্যক্তকারী মোস্তফা আসিফের বিরুদ্ধে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী ছাত্রী। সেদিন বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ঢাবি কর্মচারীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। এবং সেখানে ছাত্রীটিকে হেনস্তার করার কথা স্বীকার করেন মোস্তফা আসিফ অর্ণব।

প্রক্টরের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, উত্ত্যক্তকারী এই কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হবে।

স্বীকারোক্তির পর অভিযুক্তকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এদিকে মোস্তফা আসিফকে আটক করার দিন মাঝরাতে তার মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন একদল ব্যক্তি। ‘বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন’ নামক একটি সংগঠনের ডাকে তারা থানার সামনে জড়ো হন।

একপর্যায়ে তারা থানার ভেতরে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান ও ভুক্তভোগী ছাত্রীকে তিরস্কার করতে থাকেন। এছাড়াও তারা মামলার এজাহারের ছবি তোলার মাধ্যমে ছাত্রীর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে নিয়ে যান।

ফ‍্যাক্টচেকার ও সাংবাদিক কদরুদ্দিন শিশিরের অনুসন্ধানে মোস্তফা আসিফের মুক্তির দাবিতে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় বেরিয়ে আসে। জানা যায়, তাদের মধ্যে অন্তত একজন সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সদস্য হিসেবে অতীতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। একই ব্যক্তি নাস্তিকদের হত্যা করার জন্যও উস্কানি দিয়ে থাকেন। এবং আরেকজনের নামে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছিল ২০১৫ সালে।


শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এদের কাউকে গ্রেফতার করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে মোস্তফা আসিফকে গ্রেফতারের পরদিন সকালে ঘেরাওকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ। মুহাম্মদ আরিফ নামে ঘেরাওকারীদের একজন এসএম ফরহাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন: “অর্ণব ভাইকে ছাড়িয়ে নিতে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ঢাবি শিবির সভাপতি ফরহাদ ভাই”।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে এসএম ফরহাদ থানা ঘেরাওকারীদের ‘তৌহিদী জনতা’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবী করেন শাহবাগ থানার ওসি তাকে ফোন দিয়ে ডাকার কারণে তিনি মধ্যস্থতা করতে থানায় গিয়েছিলেন।

থানা ঘেরাও করা লোকদের আপত্তির মুখে গ্রেফতারের পরদিন, অর্থাৎ ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার মোস্তফা আসিফকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি জামিনে মুক্ত হন। মুক্তির পরে তার গলায় ফুলের মালা, মাথায় পাগড়ি ও হাতে কুরআন ধরিয়ে দেয় তাকে মুক্ত করতে আসা লোকেরা।

অন্যদিকে মোস্তফা আসিফের জামিনের দিনই ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির মুখে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলাটি তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি পুলিশকে দায়ী করেন, যারা মামলার এজাহারের তথ্য থানা ঘেরাও করা লোকদের কাছে প্রকাশ করেছে।

গত ৭ মার্চ, শুক্রবারে পোস্ট করা একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন: “আমার সেন্সিটিভ ইনফরমেশন পুলিশ পাবলিক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসা করায় বলেছে এজহার কপি নাকি পাবলিক করা যায়। তাহলে এজহার কপিতে এত ইনফরমেশন তারা কেনো রাখেন?? এগুলা অন্য আরেক জায়গায় রাখুক। আর এই বিষয়টা আমাকে শুরুতেই তারা কেনো বলে দেয় নি?? তাহলে আমি মামলাই করতাম না। আপনাদের এই ফালতু নিয়মের জন্য আমার গত সারারাত কি কি সহ্য করা লাগসে কোনো আইডিয়া আছে আপনাদের? এই পুলিশ বাহিনী আর তাদের এসব ফালতু নিয়ম কবে চেঞ্জ হবে?? অসংখ্য নাম্বার থেকে রেপ আর ডেথ থ্রেট দেওয়া হয়েছে।”

তিনি যোগ করেন, “এই ঘটনা এইটাই প্রমাণ করে যে দেশে এখন অপরাধ করে, ইভটিজিং করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে। ভিকটিম স্টেপ নিলেও উল্টা তাকে হয়রানি করা হবে।”

এদিকে ৭ মার্চ ঢাবি প্রশাসন জানায়, অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অথচ ঘটনার দিন স্বীকারোক্তির পর অভিযুক্তকে বরখাস্তের কথা বলেছিলেন প্রক্টর।

মামলা প্রত্যাহারের দিন, অর্থাৎ ৬ মার্চ প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনা করে প্রক্টরিয়াল টিমের মধ্যস্থতায় মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

একইদিনে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "মামলা প্রত্যাহার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে জোর করেনি। বরং মামলা প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে পুলিশের পক্ষ থেকে তার ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দিতে না পারা এবং ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপে ক্রমাগত আসতে থাকা ধর্ষণের হুমকিকে দায়ী করেছেন।"

সম্পূর্ণ ঘটনাকে ঘিরে গত কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন অনেকেই।

সাংবাদিক জায়মা ইসলাম তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে এই ঘটনাকে মিলিয়ে দেখেছেন। তার উপস্থাপিত সংবাদের ভিডিও ক্লিপের মন্তব্যের ঘরে তাকে নিয়ে করা কিছু কটূক্তির স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন: “বাংলাদেশী জালেম পুরুষদের থেকে যদি একটাই জিনিস ফেরত চাইতে পারতাম তা হত আমার, আমাদের শরীর।”

ছাত্রী, মাহিমা রহমান লামিয়া নারী দিবস উপলক্ষ্যে লিখেছেন: “যেই দেশে জন্মের পর থেকে কোনো ধর্ষকের বিচার দেখিনাই, যেই দেশে ওড়না না পড়লে বলে বুক ঢাকেন ওড়না পড়লে দেয় ওড়না ধইরা টান, যেই দেশে নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা দাদিমা পর্যন্ত ধর্ষিত, যেই দেশে বোরখা পড়া নারীকে ধর্ষণ করার পর বলে মেয়েরা জিন্স প্যান্ট পড়ে দেখে ধর্ষিত, যেই দেশে নারীকে মাগরিবের আগে বাসায় ফিরতে হয় অথচ ভরদুপুরে নদীর ধারে পাওয়া যায় কিশোরীর মাথা কাটা নগ্ন লাশ, যেই দেশে পুরুষ রাস্তায় প্রস্রাব করে কিন্তু নারীর হাতে সিগারেট দেখায় দুইজন নারীকে মারতে আসে পঞ্চাশজন, যেই দেশে ইভটিজারকে করা হয় মালা দিয়ে বরণ; ওই দেশের নারীদের জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা!”

আরেক ছাত্রী, কৃত্তিকা প্রিয়দর্শিনী গত বছরের জুলাইয়ে বৃষ্টির সময় আন্দোলনরত দুজন নারীর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিচ্ছে আমাদের মেয়েরা। সেই সময়ে "হুজুর", "শাহবাগী" সবাই ই ছবিটা শেয়ার দিয়েছিলেন। তখন কেন আপনারা বলেন নাই "ওড়না কই? গায়ের জামা এভাবে ভিজে সেটে গেছে, পর্দা করেনা কেন?"

আমি বলি কেন বলেন নাই? কারণ তখন মেয়েদেরকে দরকার ছিলো, আন্দোলনে মেয়েদের অংশীদারত্বে লাভবান হচ্ছিলেন, তাই চুপ ছিলেন। আজকে আন্দোলন শেষ। দরকার শেষ। তাই উঠতে বসতে চিল্লায় উঠেন "ওড়না কই?"”

লেখক জুয়েইরিযাহ মউ এই ঘটনার প্রতিবাদে লিখেছেন, “আমি ওড়না পরবো না। আমার খুশি। #mylifemyrules”

চিকিৎসক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবীন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন পাওয়ার দিন লিখেছেন, “নারীদের ভোট matters and this time it will be game changer !!!!”

মডেল ও অভিনেত্রী জয়নব আলম জুঁই লিখেছেন, “Honourable Chief Adviser GOB, আশা করছি, আপনি #ওড়না ইস্যুতে কিছু মন্তব্য করবেন আর যদি মন্তব্য না করেন তাহলে আপনার মেয়ে এবং আপনার ওয়াইফকে ও বলা উচিত তাদেরকে ওড়না পড়তে শুরু করে দেয়া। যতটুকু দেখেছি আপনার মেয়ে কিংবা আপনার ওয়াইফ কেউই ওড়না পড়ে না।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র মালিহা নামলাহ অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফকে নিয়ে লিখেছেন: “এই লোককে যারা সমর্থন দিচ্ছেন, তারা পরপুরুষকে নিজের বোন/বউ কে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য করার অধিকার দিয়ে দিচ্ছেন, এই ধরণের কাজকে ভালো কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলছেন। এবং একজন নারী উত্তক্তকারীর হাতে কুরআন তুলে দিয়ে ইসলামের অবমাননা করছেন। যা করছেন ভেবে চিনতে কইরেন।”

সাংবাদিক সাদিক মাহবুব ইসলাম হেনস্তার ঘটনার দিন লিখেছেন: “অনেকেই আজকের শাহবাগের ঘটনায় বলতেছেন, 'সামান্য ওড়না নিয়ে বলায় চাকরিচ্যুত'। তাদের জন্য একটা ডেয়ার দেই। আগামীকাল আপনাদের অফিসের নারী সহকর্মীকে পোশাক নিয়ে এইভাবে মন্তব্য কইরেন। দেইখেন চাকরি থাকে কিনা। যেই সংগঠনের নেতা এই ইস্যুতে রাজনীতি করতে চাইতেছেন, সেই সংগঠনও দেখবেন এই পোশাক নিয়ে পুলিশিং টলারেট করে কিনা। করবেনা। কারণ দুনিয়াটা ফেসবুকের কমেন্টবক্স আর রাস্তার মব না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা লিখেছেন, “বাংলাদেশের নারীরা ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে যাবে না। যারা নারীকে আটকাতে চায় তাদের দিকে খেয়াল রাখুন! প্রতিটি নিপীড়ন খেয়াল রাখুন। রেকর্ড রাখুন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ম্যানিফেস্টোর দিকে খেয়াল রাখুন। নারী অধিকার বিরোধীদের মনে রাখা হবে। সব কিছু মনে রাখা হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নওরিন সুলতানা তমা এই ঘটনার পেছনে পুলিশের ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন: “শাহবাগ থানার এই পুলিশ এনামুল যে মামলার এজাহার মবের হাতে তুলে দিল তার শাস্তি কী হওয়া উচিত! এই মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? আর কেউ মামলা দেওয়ার সাহস করবে?...মেয়ের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য, নাম, ঠিকানা, বাবা মায়ের নাম, মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারসহ সমস্ত তথ্য এখন অরক্ষিত।”

সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই ঘটনার সমালোচনা করলেও অনেকে আবার অভিযুক্তের পক্ষ নিয়েছেন। ‘শিশুবক্তা’ নামে পরিচিত ইসলামী বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী লিখেছেন, “আপু এভাবে চইলেন না ওড়না মাথায় দেন, এতটুকু কথার জন্য নাকি গ্রেফতার? এবং উনার নাকি চাকরিও চলে গেছে? এ কোন বাংলাদেশ? শাহবাগ থানা থেকে ভাইকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক!”

এদিকে এই ঘটনার ফলে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক শক্তির লাভ হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক আশীফ এন্তাজ রবি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “একটা মেয়ে কেন ঠিকভাবে ওড়না পরে নাই, এজন্য এরা গোটা দেশকে গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একটা স্বৈরাচারকে সরাতে গিয়ে দুই হাজার মানুষ মারা গেছে, এদের কোনো হুঁশ নাই। উগ্রবাদী আখ্যা দিয়ে সেই স্বৈরিনী হাজার হাজার মানুষকে গুম করেছে, এটা এরা ভুলে গেছে। এদের একটাই ধ্যান, একটাই চিন্তা- মেয়েটা কেন ওড়না ঠিকভাবে পরলো না। এদের এত ত্যাল, এদের এত ত্যাজ, এদের এত পড়াশোনা, সবকিছু এরা ব্যয় করছে, একটা মাত্র প্রজেক্টে। মেয়েটা কেন ওড়না ঠিকভাবে পড়লো না। এদের বিদ্যাবুদ্ধি, ধ্যানজ্ঞান, ত্যাজত্যাগ সবকিছুর মূলে মেয়েটার ওড়না।”

XS
SM
MD
LG