খালি চোখে মনে হতে পারে জিনিষগুলো তো একবারেই স্থির, অনড় অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে ঐ জিনিষগুলোও স্পন্দন তোলে ও নড়াচড়া করে। আমাদের চারিদিকে যা কিছু আছে তা প্রতিনিয়ত নড়ছে। ম্যাসেচুসেটিস ইন্সটিউট অফ ট্যাকনলজির গবেষকেরা নতুন একটি বিশেষ ধরণের ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন যার সাহায্য এ বিশ্বের অদৃশ্য প্রতি সেকেন্ডে কম্পনের সুক্ষ মূহুর্ত্বগুলোও ছবিতে ধরা পড়ে। ভয়েস অব আমেরিকার জর্জ পুটিচের রিপোর্টটি বিস্তারিত শুনুন তাহিরা কিবরিয়ার কাছে।
MIT বা ম্যাসেচুসেটিস ইন্সটিউট অফ ট্যাকনলজির গবেষকেরা একটি বিশেষ ধরণের ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন যার সাহায্য তারা এ বিশ্বের আপাত দৃষ্টিতে স্থির জিনিষগুলো যে কাঁপছে সেই অদৃশ্য কম্পনের প্রতি ্সেকেন্ডের সূক্ষাতি সুক্ষ মূহুর্ত্বগুলোর ছবি তুলেছেন।
এমন অনেক স্থির জিনিষ আছে যা সামান্যতম শব্দ তরঙ্গে নড়ে ওঠে। তবে ঐ জিনিষগুলো যে নড়ছে তা কিন্তু আমরা খালি চোখে মোটেও দেখতে পাইনা।
স্থির কোন একটি জিনিষের ছবি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুতগতির ক্যামেরা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে হাজার হাজার ফ্রেমের ছবি তোলা হয় এবং ঐ ছবিগুলোকে কম্পিউটারে একটি বিশেষ প্রগ্রামের মাধ্যমে যদি ভিডিও করা হয়, তাহ’লে পর আপাতদৃষ্টিতে স্থির চিত্রগুলো যে নড়ছে তা আমরা দেখতে পাব। এই ফলাফল সত্যি অভূতপূর্ব। শক্তিশালী অনুবিক্ষণ যন্ত্র যার নীচে সূক্ষাতি সূক্ষ জিনিষ গুলো ধরে পরে--- এমন একটি যন্ত্রে নীচে স্থির গ্লাসটিকে মনে হচ্ছে যেন জেলির মত একটি পদার্থ।
ম্যাসেচুসেটিস ইন্সটিউট অফ ট্যাকনলজির এম এ ক্লাসে ছাত্র নীল ওয়াসাওয়।
তিনি বললেন, এই মোশন মাইক্রোস্কোপের সাহায্য অদৃশ্য সুক্ষ কম্পন যা খালি চোখে দেখা যায় না সেগুলো কিন্তু ভিডিওতে ঠিক ধরা পরে এবং তা দেখা যায়।
ম্যাসেচুসেটিস ইন্সটিউট অফ ট্যাকনলজির ঐ গবেষক ছাত্র নীল ওয়াদওয়া একজন মানুষের মুখাবয়াবের ছবি তুলে তা কম্পিটার প্রগ্রামে দেওয়ার পর পরিষ্কার দেখেছেন যে--- প্রত্যাকবার হৃদকম্পনের সংগে সংগে রক্তচাপ বা এর ওঠা নামাও দেখা যায়।
ওয়াদওয়া বলেন মোশন মাইক্রোস্কোপটির সাহায্যে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ কম্পন অথবা সঞ্চালন রেকর্ড করা সম্ভব যেমন, মাতৃ জঠরে শিশুর নড়াচড়া --- এমন কি শিশুর শ্বাস প্রশ্বাস পর্যন্ত।
ওয়াদওয়া বললেন, যে কেউই অদৃশ্য গতিময়তার ছবি তৈরী করতে পারে। মানুষের গায়ে যন্ত্র না লাগিয়ে বা বিনা ষ্পর্শেও মানুষ তাদের হৃদপন্ডেরে ষ্পন্দন এবং শ্বাস প্রশ্বাস বুঝতে পারবেন দেখতেও পারবেন।
ওয়াদওয়া বলেন, এই প্রযুক্তি আমরা অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে পারি যেমন ইঞ্জিনিয়াররা ভবন্সহ রাস্তা ঘাট ব্রিজ, দালান তৈরীর কাজ যে ক্রেইন ব্যবহার করা করছেন এমন প্রতিটি স্থির জিনিষের অদৃশ্য গতিময়তা রেকর্ড করতে পারেন।