অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগান সাংসদ রঙ্গিনা কারগারকে ভারতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি


আফগান সাংসদ রঙ্গিনা কারগার
আফগান সাংসদ রঙ্গিনা কারগার

আফগানিস্তানের সংসদ উওলেসি জিরগার মহিলা সদস্য রঙ্গিনা কারগার অভিযোগ করেছেন, তাঁকে গত সপ্তাহে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ভারতে ঢুকতে না দিয়ে ফিরতি বিমানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারগার বলেন, ২০১০ সাল থেকে তিনি জিরগার সদস্য। ফারইয়াব প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, তিনি একজন মহিলা মানবাধিকারকর্মী। তাঁর আফগান কূটনৈতিক ও সরকারি বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ভারতে ঢুকতে কোনও ভিসার দরকার হয় না। এ বিষয়ে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিশেষ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে এবং এই পাসপোর্টে তিনি আগে বহুবার ভারতে এসেছেন। আফগানিস্তানের অবস্থা খারাপ হচ্ছে টের পেয়ে গত জুলাই মাসে স্বামী ও চার সন্তানসহ তিনি ইস্তানবুলে চলে গিয়েছিলেন।

কিন্তু এবার তালিবানের হাতে কাবুল পতনের পাঁচ দিন পর ২০শে আগস্ট ইস্তানবুল থেকে দুবাইয়ের একটি উড়ানে তিনি নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেই দিন বেলা ১১টার সময় দিল্লিতে তাঁর ডাক্তার দেখানোর কথা। দু'দিন পর ২২ তারিখ আবার ইস্তানবুল ফিরে যাওয়ার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু ওই দিন বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মীরা তাঁর পাসপোর্ট হাতে নিয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলে তাঁদের ওপরওয়ালার সঙ্গে কথা বলতে যান। এর দু'ঘণ্টা পরে যে বিমানে করে তিনি দিল্লিতে নেমেছিলেন, সেই বিমানে করেই তাঁকে ইস্তানবুল ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কারগার জানান, ভারতীয় অভিবাসন কর্মীরা তাঁর কোনও কথাই শোনেননি। শুধু বলেন, দুঃখিত, আপনার জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। কেন করতে পারছেন না, কেন আমাকে ফেরত পাঠানো হলো, সে নিয়েও তাঁরা কোনও কৈফিয়ৎ দেননি।

কারগার বলেন, অথচ ভারত সরকার বারবার বলছে, আফগানিস্তানে যারা বিপন্ন তাদের সাহায্য করবে। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বরাবর মৈত্রীর সম্পর্ক। মহাত্মা গান্ধীর দেশ ভারত থেকে এ রকম ব্যবহার তিনি আশা করেননি। খুবই মর্মাহত হয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যম থেকে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের কিছুই জানা নেই।

XS
SM
MD
LG