যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখার রাতের রকেট হামলাসহ বিমানবন্দরে হামলার হুমকি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও, দেশটি কাবুল থেকে আমেরিকান এবং সংকটে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিতে 'শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত' সহায়তা করে যাবে।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগষ্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের যে সময়সীমা, তা ঘনিয়ে এলেও সেখান থেকে মানুষকে সরিয়ে নেয়া বন্ধ করার কোন ইচ্ছা তাদের নেই। ঐ কার্যক্রমকে বিমানে করে মানুষকে সরিয়ে নেবার যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ কার্যক্রম হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। মানুষকে সরিয়ে নেবার ঐ কার্যক্রমকে এখন দিন হিসাবে নয়, বরং ঘন্টা হিসাবে পরিমাপ করা হচ্ছে।
জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের আঞ্চলিক কার্যক্রমের ডেপুটি ডিরেক্টর সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম "হ্যাঙ্ক" টেইলর সাংবাদিকদের জানান, শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মানুষকে বিমানে করে সরিয়ে নেবার ক্ষমতা তাদের অব্যাহত আছে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কার্বি বলেন, তাদের শেষ ফ্লাইট পর্যন্ত বিমানবন্দরটি সচল থাকবে। তিনি আরও বলেন, সামরিক পরিকল্পনাকারীরা এই পিছিয়ে পড়া কার্যক্রমটি নিরাপদে সম্পন্ন করার জন্য খুব সাবধানে সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করেছে।
হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন জানিয়েছে, তালিবান আগষ্টের শুরুতে আফগানিস্তানের দখল নেবার পর আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫ হাজার আমেরিকানসহ মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১২০০ বা তার চেয়ে বেশি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬টি সামরিক বিমান এবং জোটের ২টি বিমানে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, বিমানবন্দরে রাতের রকেট হামলা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বিমান চলাচলে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে পাঁচটির মত রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
জয়েন্ট স্টাফের মেজর জেনারেল টেইলর সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি রকেট এয়ারফিল্ডকে আঘাত হানতে সম্পূর্নভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চতুর্থটি আঘাত হানলেও তা মিশনে কোন প্রভাব ফেলেনি বা তাদের কর্মীদেরও কোন ক্ষতি করেনি। পঞ্চম রকেটিকে বিমানবন্দরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় করে ফেলে।