বাংলাদেশে আধুনিক গানের জগতে আঁখি আলমগীর একটি অত্যন্ত সুপরিচিত নাম। যতক্ষণ মঞ্চে থাকেন, দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে। গানের পাশাপাশি রয়েছে তার সদা উচ্ছল, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব এবং ছন্দময় উপস্থিতি। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি টিভি, চলচ্চিত্র, মঞ্চে গেয়ে চলেছেন ক্লান্তিহীণ। তার জনপ্রিয়তায় এখনো চিড় ধরেনি এতোটুকু।
ভয়েস অফ আমেরিকার সাথে দেয়া এই বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক আহসানুল হক জানতে চান তার শৈশব-কৈশোর সম্পর্কে। সুপরিচিত চলচ্চিত্র তারকা আলমগীর এবং কবি খোশনূর আলমগীরের মেয়ে আঁখি আলমগীর বললেন তার শৈশবের কথা। শৈশব ছিল অনেক আনন্দের। বাইরে থেকে চাকচিক্যময় মনে হলেও আসলে জীবন ছিল সাদামাটা। কোথাও আধিক্য ছিল না মোটেই। সবকিছুই পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে অর্জন করতে হয়েছে। বড় বড় মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছেন সংস্কৃতিমনা পরিবারে। শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র অভিনয়ে জাতীয় পুরষ্কার পান। তিন বছর বয়স থেকে গান শিখতে শুরু করেন। গান শিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক, ওস্তাদ আখতার সাদমানী এবং সঞ্জীব দে-র কাছ থেকে। উৎসাহ পেয়েছেন পরিবারের সবার কাছ থেকে। বাবা-মাই তার সবচেয়ে বড় ভক্ত এবং সমালোচক। কলেজে পড়ার সময় প্রথম সিনেমায় প্লে ব্যাক করেন পরিচালক দেলোয়ার ঝন্টুর ছবিতে । তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিটিভি আর বাংলাদেশ বেতারে গান করতে শুরু করেন। ১৯৯৭ সালের ৭ ই জানুয়ারী তার একক গানের প্রথম ক্যাসেট বাজারে আসে। দশ হাজার কপি ক্যাসেট বিক্রী হয়ে যায় দ্রুত। ১৯৯৮ সাল থেকে স্টেজে গাইতে শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শিল্পী, যার জন্য ভারতের বিখ্যাত গীতিকার পুলক বন্দোপাধ্যায় কয়েকটি গান লেখেন, প্রণব ঘোষের সুরে আঁখি সেইসব গান করেছেন।
আঁখির প্রিয় শিল্পী কারা? আঁখি বিশেষভাবে বললেন সংগীতের দেবী ভারতের কিংবদন্তী লতা মাঙ্গেশকারের কথা। এছাড়াও এই তালিকায় আছেন সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, শাহনাজ রহমতুল্লাহ, সুবীর নন্দী, আবদুল হাদী সহ আরো অনেক শিল্পী।
আঁখি আলমগীরকে অনুরোধ করা হয়েছিল তার প্রিয় একটি গান গাইতে, যেটি প্রথম গেয়েছেন অন্য কোন শিল্পী। বিনয়ী শিল্পী আঁখি খালি গলায় গাইলেন তার অতি প্রিয় শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ-র একটি গান।
আঁখি আলমগীরের সাথে কথা বলেছেন ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক আহসানুল হক।