অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আল-ক্বায়দার শক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের খাটো করে দেখা নিয়ে উদ্বেগ


আফগানিস্তানে আল ক্বায়দার শক্তি ও প্রভাবকে যুক্তরাষ্ট্র যে ভীষণ খাটো করে দেখছে সে নিয়ে এখানে উদ্বেগ ক্রমশই বেড়ে চলেছে।যদিও হোয়াইট হাউজ সে দেশে মোতায়েন আমেরিকান সৈন্যদের ফিরিয় আনার ব্যাপারে আরও উচ্চাকাঙ্খী সময়সীমার কথা বলেই চলেছে, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মকর্তারা এবং আফগান কর্মকর্তারাও আল ক্বায়দার সংখ্যা কমে যাওয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন এবং তাদের মূল্যায়নের মধ্যে বড় রকমের পার্থক্যের কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন, অনেক আঘাত পেয়েও সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটি তাদের নিয়ন্ত্রণ অটুট রেখেছে।

আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গতকাল একটি ওয়েবিনারে ইসলামিক স্টেট, আল ক্বায়দা এবং তালিবানের প্রতি জাতিসংঘের নজরদারি টিমের সমন্বয়ক এডমান্ড ফিটন ব্রাউন বলেন, “ শীর্ষ নেতারা এবং শত শত সশস্ত্র সক্রিয়বাদী আফগানিস্তানেই রয়েছে”। তিনি আরও বলেন, আল ক্বায়দা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি তালিবানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ আলোচনার সময়ে তালিবান বরাবর আল ক্বায়দার সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেছে এবং তারা অনানুষ্ঠানিক ভাবে এই নিশ্চয়তাও দিয়েছে যে আল-ক্বায়দার সঙ্গে তারা তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখবে।

এই গত জুলাই মাসে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, এই গোষ্ঠিটি আফগানিস্তানের ১২ টি প্রদেশে গোপনে সক্রিয় রয়েছে এবং তারা ৪০০ থেকে ৬০০ জন যোদ্ধার নেতৃত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো আরও সতর্ক করে দিয়েছে যে, এদের সহযোগী আকিস বা আল ক্বায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট এর ১৫০ থেকে ২০০ জন যোদ্ধা রয়েছে আফগানিস্তানের নিরমুজ, হেলমান্দ এবং কান্দাহার প্রদেশে। আফগান কর্মকর্তারাও এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠিটির হুমকি কমে গেছে।

XS
SM
MD
LG