দু বছরের কারাবাসের পর তুরস্ক থেকে মুক্তি পেয়ে আমেরিকান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসান আজ শনিবার অপরাহ্ণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পাশে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করেন এবং ট্রাম্প যেন অতিপ্রাকৃতিক প্রজ্ঞা অর্জন করেন সে জন্য প্রার্থনা করেন। তাঁর মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তুরস্কের সরকারের উপর যে চাপ প্রয়োগ করেছেন সে জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান।
গতকাল অ্যান্ড্রু ব্রানসানের মুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তুরস্কের মধ্যে তিক্ত কুটনৈতিক বিবাদের নিস্পত্তি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ব্রানসানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। ব্রানসানকে যদি সন্ত্রাসবাদ এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হতো তা হলে তাঁর ৩৫ বছরের কারাদন্ড হয়ে যেতো। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলছে।
এক টুইটার বার্তায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন যে অন্যায় ভাবে বন্দি অন্যান্য আমেরিকানকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর প্রশাসন কাজ করে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ব্রানসানকে গতকাল জার্মানির র্যামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসে এবং তারপর তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হবে।
জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল বিমান ঘাঁটিতে ব্রানসানকে মস্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি আমেরিকান পতাকাকে চুমু দিচ্ছেন ।
তুরস্কের আদালত অবশ্য ব্রানসানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাঁকে মাত্র তিন বছর এক মাসের কারাদন্ড দেয়। বিচারের আগেই এই ধর্মযাজক দু বছর আটক ছিলেন আর সে কথা বিবেচনা করেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।